সংক্ষিপ্ত

  • হুগলির বলাগড়ে একশো বছরের কালী পুজো
  • হুগলি নদীর চরে গড়ে উঠেছে মন্দির
  • জ্বালানো হয় না আলো
  • মূর্তির বদলে হয় বেদি পুজো

উত্তম দত্ত, হুগলি:  নেই কোনও মূর্তি, পুজোর সময় জ্বালানো হয় না কোনও আলো। ভরসা বলতে শুধুমাত্র পাতকাঠির আলো। শুধু তাই নয়, এ এক এমন বাৎসরিক কালীপুজো, যেখানে কোনও পুরোহিত থাকেন না। পুজো সারেন ভক্তরাই।

হুগলির বলাগড়ের চরকৃষ্ণবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বেনালী চর গ্রাম। হুগলি নদীর উপরেই রয়েছে এই চরটি। যার উল্টোদিকে রয়েছে নদিয়ার শান্তিপুর। সেখানেই গড়ে উঠেছে হোগলা কালীমাতার মন্দির। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রায় একশো বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে। অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিনে কৃষ্ণপক্ষে এই পুজো হয়। সেই মতো মঙ্গলবার রাতে এ বছরের পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। পাঁচ দিন ধরে চলে পুজো। এই কালী পুজোতে এখনও বলি  প্রথা রয়েছে। 

কথিত আছে, একশো বছর আগে স্থানীয় এক বাসিন্দা এই মন্দিরে কালী বেদি তৈরি করার জন্য় স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। কিন্তু বেদির সঙ্গে একটি মূর্তিও তৈরি করা হয় পুজোর জন্য। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সেই মূর্তি দেখা মাত্র একজন দৃষ্টি হারান। তার পর থেকেই আর এখানে মূর্তি পুজো হয়না। বরং একশো বছর আগে প্রতিষ্ঠিত বেদিকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে মন্দির। 

এই পুজোর আরও একটি বিশেষত্ব হল যে পুরোহিত ছাড়াই পুজো করা হয়। পুজোর যাবতীয় কাজ করেন ভক্তরাই। প্রথম থেকেই এ ভাবে পুজো হয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

পুজো উপলক্ষে গ্রামে বসে বিরাট মেলা। বাউল গান- সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়। এর পাশাপাশি ভক্তদের জন্য থাকে খিচুড়ি ভোগের ব্যবস্থা। হুগলি ছাড়াও নদিয়া এবং বর্ধমান জেলা থেকেও অনেকে বছরের এই দিনটিতে এখানে পুজো দিতে আসেন।