সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যে যে ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটছে তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সমান
- কিছু মানুষ রাজ্য়ের বুকে দেশদ্রোহিতার কাজ করছে
- এই বিষয়ে সব থেকে বড় দোষ রাজ্য় সরকারের
- নদিয়ায় এসে এমনই মন্তব্য় করলেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি
রাজ্যে যে ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটছে তা একপ্রকার রাষ্ট্রদ্রোহিতার সমান। কোনও যুক্তিগত কারণ না থাকা সত্ত্বেও কিছু মানুষ রাজ্য়ের বুকে দেশদ্রোহিতার কাজ করছে। সব থেকে বড় দোষ রাজ্য় সরকারের। যারা রাজ্য়ের হিংসাত্বক পরিস্থিতি দেখেও কোনও ব্য়বস্থা নিচ্ছে না। চার দিন হয়ে গেল এখনও পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে না। বুধবাার নদিয়ায় এসে এমনই মন্তব্য় করলেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপবাবু বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্য়েম কারও কোনও অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না। কারও কোনও ক্ষতি হয়নি, অথচ রাজ্য জুড়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। যারা উদ্বাস্তু বাধ্য হয়ে এ দেশে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দিতেই এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে কারও কি কোনও আপত্তি থাকতে পারে? সুতরাং এটা যারা করছেন ভোটের স্বার্থে করছেন। যারা এই দেশদ্রোহিতার কাজ করছেন, তারা বাংলাদেশ থেকে এখানে এসে মুখোশ পরে বসে আছে।
এখানেই থেমে থাকেননি দিলীপবাবু। তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। আমি বাংলার মানুষকে বলব,আপনারা সাবধান হোন। পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। এ ব্যাপারে সবাই সাবধান হোন। পাশাপাশি মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন,পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রেলের সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে। আর যারা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নষ্ট করছে,তারা আমাদের রাষ্ট্রের কেউ নয়। তাদের কঠোর হাতে দমন করা উচিত। কিন্তু রাজ্যের টিএমসি সরকার তা করছে না। উল্টে তাদের বাড়তে দিচ্ছে,কারণ ভোটব্যাংক বাড়াতে হবে।
রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ইতিমধ্য়েই তিনটি সভা করে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই তুলনায় বড় সভা করার অনুমতি পায়নি বিজেপি। তাই আগামী দিনে নাগরিকত্ব সংসোধনী আইন নিয়ে মানুষকে বোঝাতে পথে নামছে বিজেপি। আজ থেকেই বিভিন্ন মন্ডলে সভা শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে লিফলেট ছাপিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝানো হবে রাজ্য়বাসীকে।