সংক্ষিপ্ত

শুভেন্দু অধিকারী এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ২০১৩ সাল থেকে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি কোনও দিনও তাঁর কাছ থেকে নন্দীগ্রাম বা  তাঁর বিধানসভা- লোকসভা কেন্দ্রের জন্য কোনও সাহায্য নেননি।S

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বিধানসভায় এসএসসি দূর্ণীতি ইস্যুতে মন্তব্য করতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নেন। তিনি বলেন,  'যে দাদামণি চাকরি দিয়েছেন তার হিসেব কে নেবে?সিবিআই তাঁকে ধরবে না? মেদেনীপুর উত্তর দিনাজপুর হয়ে সব জায়গায় দাদামণি চাকরি দিয়েছেন। পুরুলিয়ায় চাকরি না দিয়ে বঞ্চিত করেছিলেন। সেই সব বঞ্চিতরা আমার কাছে এসেছিলেন- আমি চাকরি দিয়েছিলাম।'  মমতা আরও বলেন, চাকরি নিয়ে যখন সিবিআই তদন্ত হচ্ছে তখন সেই বিষয়েও তদন্ত হোক। এই মন্তব্যের পরই সরব হন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, সরকারে থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছি- এটা যদি মুখ্যমন্ত্রী প্রমাণ করতে পারেন তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। 

শুভেন্দু অধিকারী এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ২০১৩ সাল থেকে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি কোনও দিনও তাঁর কাছ থেকে নন্দীগ্রাম বা  তাঁর বিধানসভা- লোকসভা কেন্দ্রের জন্য কোনও সাহায্য নেননি। তিনি বলেন, 'একটা ব্ল্যাকবোর্ড পর্যন্ত নিইনি। পার্থবাবুর কাছে কাউকে চাকরি দেওয়া বা বদলি করে দেওয়ার সুপারিশ পর্যন্ত জানাইনি।' তারপরই শুভেন্দু বলেন,  'মুখ্যমন্ত্রী যদি প্রমাণ করতে পারেন অর্থের বিনিময় আমি চাকরি দিয়েছি তাহলে রাজনীতি থেকে অবসর নেব।' শুভেন্দ আরও বলেন, তিনি বলছেন, যারা পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, যারা পরীক্ষায় আকৃতকার্য হয়ে চাকরি পেয়েছেন, তারা অর্থের বিনিয়ম চাকরি পেয়েছেন। শাসক দল তাঁর নাম ব্যবহার করে বাঁচতে চাইতে বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে আদালতের সিদ্ধান্তে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, আগামী দিনে আসল ও যোগ্য প্রার্থীরাও চাকরি পাবেন। 

স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দূর্ণীর অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা চলছে। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অনেককেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এতদিনের প্রাপ্ত বেতনও ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের এই অবস্থানে বিরোধীরা রাজ্য সরকারকেই নিশানা করেছে। উল্টোদিকে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দূর্ণীতিতে রাজ্য সরকারও কিছুটা কোনঠাসা। 

এসএসসি দূর্ণীতি মমলায় এতদিন পরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বিধোরী শুভেন্দু অধিকারীদের একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভা অধিবেশনে প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাবের সমর্থনে বলতে ওঠেন মমতা। সেই সময়ই তিনি বলেন, 'এক লক্ষ চাকরি দেব- তাতে ১০০ টা ভুল হতেই পারে। তা আমাদের শুধরে নিতে হবে । আর সেই জন্য সময় দিতে হবে।'