সংক্ষিপ্ত
এক দিকে জাতীয় সড়ক অন্যদিকে জেলার একটি বড় অংশ জুড়ে ইন্দো – বাংলা সীমান্ত, এছাড়াও রয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক যারা বছরের বেশীর ভাগ সময় বিভিন্ন রাজ্যে বাস করেন, এই রকম বিবিধ কারনে জেলায় এডসের সম্ভনা প্রবল।
মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা জুড়ে বিস্তৃত প্রায় ১৪০ কিমি জাতীয় সড়কের (National Highway) আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঘুমটি ঘরের আড়ালে লুকিয়ে মারণ এডস (AIDS)। তা সত্ত্বেও বাইরে থেকে আসা মহিলাদের দেহ ব্যবসার রমরমার। এইসবকে উপেক্ষা করেও এইডস প্রতিরোধে তৎপর জেলা প্রশাসন। নিয়মিত স্বাস্থ্য ক্যাম্প তো আছেই, সেই সঙ্গে এই মারণ রোগ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে লোকশিল্পীদের নিয়ে চলছে প্রচার অভিযানও।
রয়েছে আধুনিক আইসিটিসি প্রযুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য মোবাইল ভ্যান। আর তার পরেও মুর্শিদাবাদ জুড়ে রক্তের নমুনায় এডস ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলায় এখন গভীর চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জেলা প্রশাসনের কপালে। এই ব্যাপারে জেলার এক উচ্চ প্রশাসনিক আধিকারিক বলেন , “ এইডস নিয়ে রাজ্য সরকার একাধিক পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। আমরা জেলা স্তরে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করেছি। এই রোগ যাতে বিস্তার লাভ না করতে পারে সেই বিষয়ে বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে"।
এক দিকে জাতীয় সড়ক অন্যদিকে জেলার একটি বড় অংশ জুড়ে ইন্দো – বাংলা সীমান্ত, এছাড়াও রয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক যারা বছরের বেশীর ভাগ সময় বিভিন্ন রাজ্যে বাস করেন, এই রকম বিবিধ কারনে জেলায় এডসের সম্ভনা প্রবল । অথচ কোন ভাবেই এই রোগকে বাড়তে দেওয়া যায় না । এই ব্যাপারে রাজ্য সরকার যেমন একাধিক পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন,এর পাশাপাশি ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত স্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে এডসের মোকাবিলায় পথে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও ডিস্ট্রিক্ট এইডস প্রিভেনশান অ্যণ্ড কন্ট্রোল ইউনিট অর্থাৎ ড্যাপকু ।
জানা যায় ইতিমধ্যে জেলায় একাধিক হেলথ ক্যাম্প করেছে এই যৌথ উদ্যোগ। এই ক্যাম্পে শুধু নাগরিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাই নয়, এইডস নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে সেমিনার আলোচনা এবং কন্ডোম ব্যাবহার বিধির প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। কন্ডোম ব্যাবহার কত বড় বিপদ থেকে সমাজকে বাঁচাতে পারে তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এক সময় এই কাজে বিভিন্ন সমাজসেবি সংস্থা কাজ করত বর্তমান সময়ে তারাও নানান কারনে এখন ওই কাজ থেকে হাত গুটিয়ে।
এই অবস্থায় জেলা প্রশাসন এবং ড্যাপকু পঞ্চায়েতকে সঙ্গে নিয়ে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। মহকুমা স্তরে প্রতিটি মায়েদের জন্য অন্যান্য টেস্টের পাশাপাশি আরপিআর টেস্টের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।