সংক্ষিপ্ত
- করোনা মহামারী আবহে লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসি
- সরকারি হাসপাতাল চত্ত্বরে চলছে বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল ল্যাব
- ১২টি অবৈধ ওষুধে দোকান সিল
- বিশেষ অভিযানে ড্রাগ কন্ট্রোলার
মানুষের অসহায় সময়কে কাজে লাগিয়ে করোনা মহামারী আবহে ইন্দো-বাংলা সীমান্তের মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় গজিয়ে উঠেছে' লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসি' থেকে 'প্যাথলজিক্যাল ল্যাব'। মানুষের দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে করোনা আবহে ফাঁদ পেতে বসেছে তারা। এহেন বেআইনি কারবারিদের শিক্ষা দিতে বিশেষ অভিযান শুরু করলো মুর্শিদাবাদ জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। রবিবার বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়, ভগবানগোলায় এরকমই লাইসেন্স বিহীন ১২টি ওষুধের দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয় ড্রাগ কন্ট্রোলার ।
এছাড়া অবৈধ ওষুধ রাখার অভিযোগে আরও একটি ওষুধের দোকান সিজ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । এই ব্যাপারে স্থানীয় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মহম্মদ ওয়ারশিদ খান বলেন, “বেশ কিছু দিন থেকে অভিযোগ উঠছিল লাইসেন্স ছাড়াই স্থানীয় কিছু ওষুধের কারবারি দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করেছে। সমাজের জন্য ক্ষতিকারক ওষুধ বিক্রিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অভিযান চালিয়ে কার্যত তার প্রমান পাওয়ায় ওই সব ওষুধের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে"।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানুষকে ফাঁদে ফেলতে এই সব জাল ফার্মেসি মালিক ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের কর্তারা গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশাপাশি সেখানেই অবৈধ ব্যবসা খুলে বসেছে । এদের কোনও বৈধ লাইসেন্স নেই । তার উপর তারা অবলীলায় সরকারি ভাবে ব্যান হয়ে যাওয়া ওষুধও চড়া দামে মানুষের কাছে বিক্রি করত বলেও অভিযোগ।
আরও জানা গিয়েছে শুধু ওষুধের দোকান নয় ওই হাসপাতাল চত্ত্বরে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে সরকারি জায়গাতে চলছে বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিও। প্রশ্ন উঠেছে সরকারি জায়গাতে ল্যাব চালনোর লাইসেন্স পাওয়া যায় কি ভাবে। এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় বিডিও, পুলিশ প্রশাসন এবং ড্রাগ কন্ট্রোলার সাঁড়াশি অভিযানে নামে জেলা জুড়ে।
প্রাথমিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হল ১২টি ওষুধের দোকান। পরবর্তীতে অন্যান্য ওষুধের দোকান এবং ল্যাবের কাগজপত্র খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও প্রশাসনিক ভাবে জানা গিয়েছে। এই অভিযানে ভীষণ খুশি বাসিন্দারা ।