সংক্ষিপ্ত

তারকেশ্বর পৌরসভার বাসিন্দা মলয় পেশায় অঙ্কন শিক্ষক। ছোট থেকেই দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে। শত লড়াই সত্ত্বেও হার মানেননি। পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে চালিয়ে গিয়েছেন আঁকাও।

বরাবরই নতুন কিছু করার ইচ্ছে ছিল তাঁর। সব সময় নিজের আঁকা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। আর এবার তালপাতায় মুখ্যমন্ত্রীর ছবি আঁকলেন তারকেশ্বরের চিত্রশিল্পী মলয় ঘোষ। মাত্র ২৫ মিনিটে তালপাতার উপর মুখ্যমন্ত্রীর এই ছবি এঁকে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ক্ষুদ্রতম ছবি এঁকে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ডসে। গতবছর আইসক্রিমের কাঠির উপর তিন-তিনটি মনীষীর ছবি এঁকে ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডসের অধিকারী হয়েছিলেন তিনি।

তারকেশ্বর পৌরসভার বাসিন্দা মলয় পেশায় অঙ্কন শিক্ষক। ছোট থেকেই দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে। শত লড়াই সত্ত্বেও হার মানেননি। পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে চালিয়ে গিয়েছেন আঁকাও। একাধিক জায়গায় প্রদর্শনী করেছেন। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মান। তবে শুধুমাত্র সাদা ক্যানভাসে ছবি আঁকার মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাননি তিনি। আঁকার পরিধিটাকে আরও অনেকটা বড় করে নতুন কিছু করার ইচ্ছা ছিল বরাবরই। আর ইচ্ছেডানার উপর ভর করেই একের পর এক চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন তিনি।  

আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় মুর্শিদাবাদে সিবিআই আধিকারিকরা, কথা বললেন নির্যাতিতার সঙ্গে

তবে এবারের লড়াইটা একেবারেই সহজ ছিল না বলে জানিয়েছেন মলয়। ৬.০২/২.০৭ সেন্টিমিটারের একটি তালপাতায় মাত্র ২৫ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রঙিন ছবি আঁকেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী ছবি আঁকার পর্বটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটি ভিডিও করে পাঠাতে হয় ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ডসে। এক মাসে দু'বার এই সংস্থার দফতরে ছবি পাঠিয়ে বিফল হলেও তৃতীয়বারে সফল হন তিনি। তাঁর এই সাফল্যের খবর পেয়ে তারকেশ্বর পুরসভার পুরপ্রশাসক স্বপন সামন্ত নিজে এসে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। 

আরও পড়ুন- শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ হাইকোর্টের, অনুমতি ছাড়া করা যাবে না গ্রেফতার

আরও পড়ুন- রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন, আজ ভবানীভবনে হাজিরা দিচ্ছেন না শুভেন্দু

খবর পেয়ে প্রচুর তৃণমূল কর্মীরাও মলয়ের বাড়িতে ভিড় জমান। শিল্পীর আক্ষেপ, এখনও পর্যন্ত সরকারি প্রকল্পের বাড়ি পাননি তিনি। এমনকী, শিল্পী ভাতার তালিকাতেও তাঁর নাম নেই। আগামী দিনে যদি সরকারি প্রকল্পের বাড়ি পান তাহলে সেখানে একটি স্কুল করবেন। বাড়ি ও ভাতা এই দুটিই যাতে তিনি পান তার জন্য তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন স্বপন সামন্ত। 

YouTube video player