সংক্ষিপ্ত
রাজ্য তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে কেএমডিএ কাজটি করেছে। চারটি অত্যাধুনিক স্টুডিও ছাড়াও অভিনয়, ডিরেকশন অ্যান্ড প্রোডাকশন, কন্টেন্ট রাইটিং, টিভি সাংবাদিকতা ও আর্ট ডিরেকশন পড়ানো হবে।
বারুইপুরে (Baruipur) ১০ একর জমির (10 acres of land) উপর ১৩২.৫ কোটি টাকার (cost of 132 crore) টেলি একাডেমি সম্পূর্ণভাবে নির্মিত। বৃহস্পতিবার এর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন (Inauguration of Tele Academy) পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানা গিয়েছে, বারুইপুরে ১০ একর জমির উপর এই টেলি অ্যাকাডেমি নির্মাণ করা হয়েছে। এর জন্য ব্যয় হয়েছে ১৩২.৫ কোটি টাকা। রাজ্য তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে কেএমডিএ কাজটি করেছে। চারটি অত্যাধুনিক স্টুডিও ছাড়াও অভিনয়, ডিরেকশন অ্যান্ড প্রোডাকশন, কন্টেন্ট রাইটিং, টিভি সাংবাদিকতা ও আর্ট ডিরেকশন পড়ানো হবে।
আরও জানা গিয়েছে এই কোর্সগুলিতে ২ বছর ৪ মাসের পিজি ডিপ্লোমা কোর্স পড়ানো হবে। শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য হস্টেলও তৈরি করা হচ্ছে। ৪২ জন করে পড়ুয়া এই কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। হাতে কলমে প্রশিক্ষণের কাজ শেখানো হবে অ্যাকাডেমিতে। এদিন বারুইপুরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা স্পিকার বিমান ব্যানার্জি, জেলাশাসক পি উল্গানাথন, বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সরদার, অভিনেত্রী দোলন রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি শামিম শেখ, বারুইপুর মহকুমা শাসক সুমন পোদ্দার সহ অন্যান্যরা।
এদিন টেলি অ্যাকাডেমির উদ্বোধন করে মমতা বলেন, বাংলা ইন্ডাস্ট্রির থেকে একটা বড়ো পরিমান টাকার অংশ সমাজের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি বাংলা ইন্ডাস্ট্রির তারকারা রাজ্যের কাছে গর্বের, তারাই আগামীদিনের এই ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ। তিনি আরও বলেন এখন থেকে আর শুটিংয়ের জন্য শুধু বাইরে যেতে হবে না। ভাল সিনেমার শুটিংয়ের জন্য তো অবশ্যই বিদেশে যাবেন। কিন্তু রাজ্যে বসেও আগামিদিনে ভালভাবে কাজ করা যাবে।" মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই শঙ্খের আকৃতিতে তৈরি ধনধান্য স্টেডিয়াম তৈরি হয়ে যাবে ৷ একইভাবে এ মাসের শেষেই শুরু হবে মিলন মেলা।