সংক্ষিপ্ত
- ভুয়ো টিকাকাণ্ডে গ্রেফতার দেবাঞ্জনের আরও এক সহযোগী
- ধৃতের নাম ইন্দ্রজিৎ সাউ
- দেবাঞ্জনের সংস্থাতেই কাজ করতেন
- সিটি কলেজে ভুয়ো ক্যাম্পের আয়োজন করেছিলেন তিনি
ভুয়ো টিকাকাণ্ডে গ্রেফতার দেবাঞ্জন দেবের আরও এক সহযোগী। ধৃতের নাম ইন্দ্রজিৎ সাউ। দেবাঞ্জনের সংস্থাতেই কাজ করতেন তিনি। এছাড়া পুলিশের দাবি, সিটি কলেজে যে ভুয়ো টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল তা ইন্দ্রজিৎই আয়োজন করেছিলেন। আর দেবাঞ্জনকে ওই শিবিরে তিনিই নিয়ে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- রান্না করাই কাল হল, জয়া সিনেমা হলের বিধ্বংস আগুনে অগ্নিদগ্ধ এক মহিলা সহ ২
গতকাল সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের কাছে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট থেকে ইন্দ্রজিৎকে গ্রেফতার করে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ। কসবা ও সিটি কলেজ ছাড়া আর কোথায় ভুয়ো শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল তা ইন্দ্রজিৎকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
এর আগে এই ঘটনায় দেবাঞ্জনের নিরাপত্তারক্ষী অরবিন্দ বৈদ্যকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ভুয়ো টিকাকাণ্ডে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ফের উর্ধ্বমুখী কোভিড সংক্রমণ কলকাতায়, চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের এই ৩ জেলা
যত দিন যাচ্ছে ততই দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে আসছে। পুলিশের হাতে আসছে নতুন তথ্য। ইতিমধ্যেই দেবাঞ্জনের অফিস ও বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন গোয়েন্দারা। বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি লেটার হেড, স্ট্যাম প্যাড উদ্ধার করা হয়েছে। আর অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ভায়াল।
তল্লাশির সময় দু'ধরনে ভায়াল উদ্ধার হয়েছে। সবুজ ঢাকনাযুক্ত ভায়ালের গায়ে কোভিশিল্ড স্টিকার লাগানো ছিল। আর সেই স্টিকারের নিচে ছিল অ্যামিকাসিনের স্টিকার। এছাড়াও ছিল লাল ঢাকনাযুক্ত ভায়াল। যেখানে লাগানো ছিল স্পুটনিক ভি-র স্টিকার। আর তার নিচে ছিল ট্রায়ামসিনোলোন অ্যাসিটোনাইড বা ন্যাডিকোর্ট ইঞ্জেকশনের স্টিকার। যদিও এই ভায়ালের মধ্যে ঠিক কী ধরনের তরল ছিল তা এখনও জানা যায়নি। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য সেগুলি পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারের পরই দেবাঞ্জন দাবি করেছিলেন, মেহেতা মার্কেট থেকে ওই ভায়ালগুলি কিনেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- সাতসকালে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস এই ৫ জেলায়, টানা ৪ দিন ভারী বর্ষণ উত্তরবঙ্গে
প্রসঙ্গত, কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্প চালানোর সময় সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের জালে ধরা পড়েন দেবাঞ্জন দেব। ঘটনার তদন্তে নেমে কার্যত হতবাক পুলিশ। একের পর এক মিথ্যে দিয়ে নিজের সাম্রাজ্য তৈরি করেছিলেন ধৃত। ভুয়ো পরিচয় দিয়েই বারবার পৌঁছে গিয়েছিল প্রভাবশালীদের কাছে।