সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনে কাজ চলে যায়
- বাড়ি ফিরেও কাজ জোগাড়ে অক্ষম
- শেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন
- বঙ্কিম সেতু থেকে ঝাঁপ নিয়ে আত্মহত্যা
বঙ্কিম সেতু থেকে মারণঝাঁপ দিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দিলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক। কাজ হারিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে দাবি পরিবারের।শুক্রবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ বঙ্কিমসেতু থেকে ঝাঁপ দেন। এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন রেলনাইন থেকেই উদ্ধার হয় দেহ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে লকডাউনের কারণে কাজ চলে যায়। মুম্বই থেকে ফিরেও আসেন। এখানেও কাজ জোগাড় করতে পারেননি। স্ত্রী-সন্তান আর মায়ের মুখে খাবার তুলে দিতে না পরেই আত্যহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন।
১৯ জুলাই শুরু বাদল অধিবেশন, করোনা থেকে বাংলার নির্বচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে উত্তাল হতে পারে সংসদ
বঙ্কিম সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের আত্নহত্যার ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা। ঘচনাস্থরে আসে রেলপুলিশ। রেল পুলিস তার দেহ তল্লাশি করে তার আধার কার্ড পায়। তাতে তার নাম ও পরিচয় জানা যায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবক ডোমজুড়ের দফরপুরের বাসিন্দা। নাম রাজেশ গাঙ্গুলি(৩৪)।তার মৃত্যুর খবর দেওয়া হয় বাড়িতে।স্বাভাবিক ভাবেই শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্কুল পালাতে অভিনব ছক, কোভিড রিপোর্ট জাল করতে লেবুর ব্যবহার ব্রিটেনের পড়ুয়াদের
উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রাজ্য, নির্বাচন কমিশনের প্রশ্নের জবাবে সবুজ সংকেত নবান্নর ...
জানা গেছে রাজেশ গাঙ্গুলি মুম্বাইয়ে স্বর্ণ শিল্পের কারিগর ছিলেন। লকডাউন চালু হওয়াতে কাজ হারিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু এখানেও জীবিকা নির্বাহের জন্য সেভাবে কোনও কাজ পাচ্ছিলেন না।তার মা কল্পনা গাঙ্গুলি জানান রাজেশের স্ত্রী হুগলির কালিপুরে বাপের বাড়িতে থাকতেন। ছেলে রাজেশ আসা যাওয়া করত। কিন্তু সংসারে আভাব আর অনটনের কারণে দিনে দিনে ভেঙে পড়েছিলেন রাজেশ। মুম্বই থেকে এসে কাজ পাচ্ছিল না। অভাবের দরুণ বউ ছোট্ট সন্তানকে নিয়ে চলে যায় আগেই।কল্পনা দেবী জানান সংসারের অনটন মেটাতে তিনি পরের বাড়ি কাজ করতেন।আর এসব দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারছিল না রাজেশ। ছেলের মর্মান্তিক খবর পেয়ে ডোমজুরের বাড়িতে ছুটে আসেন কল্পনা গাঙ্গুলি।কান্নায় ভেঙে পড়ে জানান অনেক বোঝাতেন ছেলেকে সব ঠিক হয়ে যাবে।তার মৃত্যু মেনে নেওয়া যাচ্ছেনা।রাজেশ গাঙ্গুলীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে হাওড়া জি আর পি।ঘটনার তদন্ত শুরু