সংক্ষিপ্ত
অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলকেই বদলে ফেলা হল। লক্ষ্য একটাই, শিশুদের স্কুলমুখী করে তোলা। নতুন স্কুল পেয়ে খুশির হাওয়া শিশুদের মধ্যে।
ধনিয়াখালি, করোনাভাইরাসের এই সংক্রমণের জন্য দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ। তবে পুজোর পরে যাতে রাজ্যের স্কুলগুলি খোলা যায় সেই বিষয় চিন্তাভাবনা করছে প্রশাসন। তবে এই অবস্থায় প্রশাসনও হাত গুটিয়ে বসে নেই। স্কুলগুলি বিশেষত অঙ্গনওয়াড়িস্কুলগুলি সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তেমনই একটি অঙ্গনওয়াড়ি স্কুল হল ধনিয়াখালি ব্লকের দশঘড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাদপুর ঘোষপাড়া এলাকায় একটি অঙ্গনওয়ারি স্কুল। স্কুলটি তৈরি করা হয়েছে একটি বিলাসবহুল বাসের আদলে।
ভোটের আগে যোগীর রাজ্যে বিজেপি বিরোধী প্রচার, মহাপঞ্চায়েত থেকে আন্দোলনকারী কৃষকদের হুঁশিয়ারি
গ্রামের দিকে শিশুরা স্কুলে যেতে ভয় পায়। কান্নাকাটি করে। তাই শিশুদের স্কুলমুখী করতে একটি সুন্দর প্রজেক্ট তৈরি করেছে ধনিয়াখালী পঞ্চায়েত সমিতি। ধনিয়াখালি ব্লকের দশঘড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাদপুর ঘোষপাড়া এলাকায় একটি অঙ্গনওয়ারি স্কুল কে তারা বেছে নিয়েছে। মাদপুর ঘোষপাড়া সুসংহত শিশু বিকাশ কেন্দ্র টি একজন লোকের থেকে ভাড়া নেওয়া বাড়িতে চলতো। বর্তমানে সরকারি জমিতে বিলাসবহুল বাসের আদলে প্রশাসন থেকে ওই কেন্দ্রটি গড়ে উঠেছে নবরূপে। দুধারে ধানক্ষেত মাঝখানে দাঁড়িয়ে সুবিশাল বাস। শুধু শিশুরাই নয় গ্রামের মানুষের কাছেও এই কেন্দ্রটি বেশ আকর্ষিত করেছে। আর এখন সেখানকার শিশুদের বলতে হয়না চল স্কুলে চল। তারা নিজেরাই গিয়ে ভিড় করে সেখানে।
সাবধান, আপনার কোভিড ১৯ টিকা আসল তো, রইল কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিন-স্পিটনিক ভি চেনার সহজ উপায়
শুধু দশঘড়া অঞ্চল নয়, অনেক দূরদুরান্ত থেকেও মানুষজন আসছে দেখতে, পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি নিতে। অভিভাবক দের এখন আর স্কুলে যাওয়ার জন্য শিশুদের তাড়া দিতে হয়না। তারা নিজেরাই চলে যায় সেখানে। উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্য সফল ।২৫ থেকে এখন ছাত্রসংখ্যা ৫৫ তে দাঁড়িয়েছে। তবে শুধু বাইরে টা দেখলে হবে না। ওই বাসের ভেতরে প্রবেশ করা মানে পড়াশোনা শুরু। বাসের ভেতরের দেওয়ালে ছবির মাধ্যমে ইংরেজি ও বাংলা বর্ণমালা তুলে ধরা হয়েছে। রয়েছে ধারাপাত। রয়েছে বিভিন্ন ফলফুল পশুপাখিদের ছবি সহ নাম। চেনানো হয়েছে বিভিন্ন মনীষীদের। এককথায় শিশুমনে বিকাশ ঘটানোর জন্য যাবতীয় উপকরণ এখানে মজুত করা আছে।
করোনা কালে স্কুল বন্ধ হলেও, শিশুদের খেলার কেন্দ্রবিন্দু গড়ে ওঠে ওই বাস কে ঘিরেই । ধনিয়াখালি ব্লক তথা ওই অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের নির্মাণ সহায়ক মোহিত পোড়েল জানিয়েছেন তাঁদের যে উদ্দেশ্য নিয়ে করা অর্থাৎ শিশুদের স্কুলমুখী করার প্রচেষ্টায় তাঁরা সফল , তার উদাহরণ, ২৫ থেকে ছাত্র ছাত্রী এখন বেড়ে দ্বিগুণের বেশি । তাঁর বক্তব্য, আগামী দিকে তাঁদের পরিকল্পনা এবার ইলেকট্রিক ট্রেন এবং হেলিকপ্টারের আদলে এরকম অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র তাঁরা তৈরি করবেন।