সংক্ষিপ্ত
আরও একবার রাজ্যপাল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমুখ সমরে। এবার মমতার জেহাদ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করেন।
আরও একবার রাজ্যপাল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমুখ সমরে। এবার মমতার জেহাদ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করেন। অবিলম্বে মন্তব্য প্রত্যাহার করতেও বলেছেন তিনি। এই মর্মে একটি বিবৃতিও জারি করেছেন তিনি। ঘটনার সূত্রপাক গত ২৯ জুন আসানসোলের জনসভা থেকে। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় '২১ জুলাই বিজেপির বিরুদ্ধে জেহাদ দিবস' হিসেবে ঘোষণা করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরই তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেছেন ' ২১ জুলাই, ২০২২-এ বিজেপির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা'- এই মন্তব্য স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক। তিনি আরও বলেছেন মন্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের প্রত্যাহার করতে হবে। এই মন্তব্যের কারণে গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজ্যপাল আরও বলেছেন একটি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কী করে একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করার কথা বলতে পারেন- এই মন্তব্য পুরোপুরি অগণতান্ত্রিক। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতিও হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি। বিবৃতি জারি করে এই মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল।
প্রথমেই বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেছেন, যেদিন উদয়পুরে ইসলামপন্থীদের দ্বারা একজন হিন্দু ব্যক্তির শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল সেই দিনই পশ্চিমবঙ্গের একটি সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে 'জিহাদ' ঘোষণার ডাক দিয়েছেন। ২১ জুলাই ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। অমিত মালব্যের কথায় এই দিন রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হতে পারে।
অন্যদিকে বিজেপি নেতা কাঞ্চন গুপ্তাও এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২২ সালের ২১ জুলাইকে বিজেপির বিরুদ্ধে “জিহাদ” দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। যদিও তিনি বাংলার জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতার আহ্বান জানাচ্ছেন, যারা একটি ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী। তাঁর এই শব্দ চয়ন মানুষের মনকে বিভ্রান্ত করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
২১ জুলাই- তৃণমূল কংগ্রস বরাবল এই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আরও পর এই দিনটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পালন করা হয়। ধর্মতলার বিশাল জনসমাবেশ হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা জড়ো হন। ওই দিনেই জেহাদের ডাক দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানাতে গিয়েছিলেন বিজেপির প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখনই রাজ্যপাল বিবৃতি জারি করে বিষয়টি অগণতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করেন।