সংক্ষিপ্ত
নারীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যে ‘নারীশক্তি’ নীতির চেয়ে দূরেই থাকে উত্তর প্রদেশ, তা প্রমাণ হয়ে গেল আরও একবার। চলন্ত অটোয় টিউশন শিক্ষককে ধর্ষণকাণ্ডের পর আজ আবার প্রকাশ হয়ে পড়ল গাজিয়াবাদের মর্মান্তিক ধর্ষণকাণ্ড!
উত্তরপ্রদেশে আরও একবার নিন্দার মুখোমুখি নারীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা। নয়া দিল্লির এনসিআর এলাকার বাসিন্দা ৩৬ বছর বয়সী মহিলাকে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে টানা দু’দিন ধরে গণধর্ষণ করল একদল পুরুষ। নির্মম অত্যাচারের পর মঙ্গলবার ভোরে রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সারা দেশ জুড়ে শোরগোল।
গাজিয়াবাদ পুলিশের বক্তব্য, পূর্ব দিল্লির বাসিন্দা ওই মহিলাকে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ উদ্ধার করা হয় নন্দগ্রাম থানার কাছ থেকে। উক্ত এলাকায় আশ্রম রোডের কাছে এক মহিলা রাস্তায় পড়ে আছেন, এমন খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পুলিশ গিয়ে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে এবং দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নির্যাতিতা মহিলার বয়ান অনুযায়ী গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপার নিপুণ আগরওয়াল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “তিনি বলেছেন যে, তিনি নন্দগ্রামে তাঁর ভাইয়ের জন্মদিনের পার্টিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। তাঁর ভাই তাঁকে নামিয়ে দিয়ে গেলে তাঁর পরিচিত কয়েকজন মিলে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি বলেছিলেন যে, সেখানে দু'জন লোক ছিল এবং পরে আমাদের জানিয়েছেন যে, মোট পাঁচজন লোক মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেছে।”
“তাঁর (মহিলার) ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং চার জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নির্যাতিতা মহিলার পরিবার এবং ওই লোকগুলির মধ্যে সম্পত্তিগত ববাদ নিয়ে দীর্ঘদিন ডরে আদালতে মামলা চলছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে,” জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
দিল্লির মহিলা কমিশন একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, ঘটনার দিন ওই মহিলাকে একটি স্করপিও গাড়িতে চারজন লোক মিলে অপহরণ করে এবং অন্য জায়গায় তুলে নিয়ে যায়, যেখানে তাঁকে দু'দিন ধরে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তারপরে তাঁকে একটি বস্তার ভেতর ঢুকিয়ে এবং রাস্তায় ফেলে রেখে আসে দুষ্কৃতীরা। তাঁর গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢোকানো অবস্থায় রাস্তায় রক্তের বন্যার মধ্যে পড়ে ছিলেন ওই নির্যাতিতা এবং এখন গুরুতর জখম অবস্থায় দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল গাজিয়াবাদ পুলিশকে নোটিশ পাঠিয়েছেন, তিনি জানিয়েছেন, “নির্যাতিতা মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর অনেক কষ্টে রডটি তাঁর শরীর থেকে বের করা হয়। ওই মহিলা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। আমরা একটি নোটিশ জারি করেছি… ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই মামলাটি নির্ভয়া মামলার মতোই। আমার আবেদন, অন্তত এই মামলাটির দ্রুত বিচার হোক এবং এই লোকদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।”
আরও পড়ুন-
এবছর কালীপুজোয় কি বাজি ফাটবে না কলকাতায়? দমকলের ছাড়পত্র নিয়ে ব্যবসায়িদের মনে ব্যাপক সংশয়
ঘুরে গেল অভিযোগের তীর, এবার চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টে গেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
পশ্চিমবঙ্গে বাজল ভোটের দামামা, আগামি বছরের শুরুতেই হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন