সংক্ষিপ্ত
- লক ডাউনের সুযোগে চলছে অবৈধ প্লটিং
- নদীর ওপর সেতু বানিয়ে চলছে জমি বিক্রি
- থানার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে চলছে অবৈধ কাজকর্ম
- খবর নেই পুরসভার কাছে
লক ডাউনকে হাতিয়ার বানিয়ে আসানসোলের অন্যতম নদী নুনিয়া নদীর বুকে স্থায়ী সেতু বানিয়ে ফেললো কেউ বা কারা। শুধু তাই নয়, সেতুর পিছনে বিশাল জমিতে শুরু করে দেওয়া হয়েছে প্লটিং। এখানেই শেষ নয়, বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু জমিও।
আসানসোল উত্তর থানার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ,১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আসানসোল পুরসভার টিম। সঙ্গে ছিল আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। সেতু ভাঙার জন্য ডোজারও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাও ফিরে আসতে হয় তাদের।
এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এলাকার বাসিন্দারা পুরসভার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। সরকার সেতু তৈরি না করে দিলে এই অবৈধ সেতু ভাঙতে দেওয়া যাবে না বলে তাদের দাবি। তবে তদন্তে উঠে এল, যে বিশালাকার জমিতে প্লটিং হচ্ছে তার অনুমতিই নেই। প্লটিং-এর খবর জানে না প্রশাসন, জানে না জমি দপ্তরও। আসানসোল মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের আধিকারিক ক্যামেরাতেই বলে ফেললেন - জমি প্লটিং এর কোনো অনুমতি নেই। নকশা নেই। অথচ প্লটিং করে বিক্রিও করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জমির মালিক জানান, তার জানা নেই যে এই সেতু তৈরি করতে হলে অনুমতি লাগে। এলাকার মানুষের নদী পারাপারের সুবিধার জন্য তিনি করেছেন। প্রশাসন সেতু বানিয়ে দিলে তাদের করতে হত না। অপর দিকে আসানসোল মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের আধিকারিক বলেন সেতু অবৈধ ভাবে তৈরি হয়েছে। তার সাথে জমির প্লটিংও অবৈধ। কোনো অনুমতি বা নকশা নেই। আবার সেই জমি অন্যদেরও বিক্রি করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্রের খবর অল্প দামে জমি নিয়ে নদীর উপর সেতু করে জমির দাম বাড়ানোর জন্যই এমন অসাধু উদ্যোগ। তবে ঘটনার বেশ কিছুদিন কেটে গেলেও এখনো সে রকম কোনো উদ্যোগ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেখা যায়নি।