সংক্ষিপ্ত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই হুড়মুড়িয়ে বিকট আওয়াজ করে ধস নামে। অবিলম্বে এটি ঠিক না করলে যে কোনও মুহূর্তে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রবিবাসরীয় বিকেলে ভয়াবহ ধস মুর্শিদাবাদে। মুর্শিদাবাদের বল্লালপুর এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের অ্যাপ্রোচ রোডে আচমকা ধস নামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রায় ১০মিটার অংশজুড়ে ধস নামে। কয়েক মাস আগে ওই সেতুতে কাজ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর তার কয়েকদিনের মধ্যেই সেতু ও অ্যাপ্রোচ রোডে ফাটল দেখা দেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ওই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। সেই কারণেই ধস নেমেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই হুড়মুড়িয়ে বিকট আওয়াজ করে ধস নামে। অবিলম্বে এটি ঠিক না করলে যে কোনও মুহূর্তে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে এই ধস নামার ফলে মুর্শিদাবাদ থেকে ঝাড়খণ্ডে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন- দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যু মামলায় শুভেন্দুকে তলব সিআইডির, সোমবার ভবানীভবনে হাজিরার নির্দেশ
ঘটনার খবর পেয়েই স্থানীয় প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তড়িঘড়ি ধস নামা অংশটি ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে বিডিও জুনায়েদ আহমেদ বলেন, "সেতুর মূল অংশ থেকে অ্যাপ্রোচ রোডের বেশিরভাগ অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া সেতুর নিচের দিকের অংশ সরে গিয়েছে। পুরো বিষয়টি শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তাদের জানানো হয়েছে।"
আরও পড়ুন- ছাগলের টোপেই খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ, স্বস্তি ফিরল গেন্দ্রাপাড়া চা বাগানে
আরও পড়ুন- তাঁরা জন্মান্ধ, মনের দৃষ্টি দিয়েই মানুষ গড়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক দম্পতি
সেতুর নিচে রেলপথ থাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ব্রিজে আরও ধস নেমে যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হওয়ায় ফাটল ধরেছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, "জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কাজের মান খতিয়ে দেখবে। তাদেরকে পুরো বিষয়টা আমরা জানিয়েছি।"