সংক্ষিপ্ত

আসন্ন পুরভোটে একদিকে যেমন সত্তরোর্ধ্ব অশোককে মুখ করে লড়াইয়ের ময়দানে ঝাঁপিয়েছে বামেরা ঠিক উলটোদিকে তরুণ-তুর্কীতেও আস্থা রাখা হয়েছে লাল শিবিরের তরফে। 

আস্থা সেই অশোকেই। শিলিগুড়ির পুরভোটকে পাখির চোখ করে সত্তরোর্ধ্ব অশোক ভট্টাচার্যকে প্রধান মুখ হিসেবে বেছে নিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে ঝাঁপাতে চলেছে বামেরা। জানা গিয়েছে, বিগত পুরভোটে জয় পাওয়া ছয় নম্বর ওয়ার্ডেই প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। তৃণমূল এবং বিজেপিকে রুখতে আগেই কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার পথে হেঁটেছে বামেরা। এবার অশোককে ঢাল করে শিলিগুড়ি পুরনিগম দখলের পথে মরিয়া বামেরা। তবে শেষ হাসি কে হাসবে তা অবশ্য সময় বলবে।

আসন্ন পুরভোটে একদিকে যেমন সত্তরোর্ধ্ব অশোককে মুখ করে লড়াইয়ের ময়দানে ঝাঁপিয়েছে বামেরা ঠিক উলটোদিকে তরুণ-তুর্কীতেও আস্থা রাখা হয়েছে লাল শিবিরের তরফে। অশোক ভট্টাচার্যের কথায়, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থতির নিরিখে রাজ্য কমিটির নির্দেশ মোতাবেক ভোটে লড়াই করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেছেন তিনি। একুশের ভরাডুবির পর স্ত্রীবিয়োগ। স্বাভাবিকভাবেই খানিকটা মুষড়ে পড়েছিলেন সত্তরোর্ধ্ব অশোক। আর তাই আসন্ন পুরভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা স্পষ্ট করেছিলেন প্রাক্তন মেয়র।

যদিও শেষ লগ্নে সিদ্ধান্ত বদল করলেন প্রবীণ সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ফোন পাওয়ার পরই সিদ্ধান্ত বদল করেন তিনি। এদিকে, সূত্রের খবর, পুরনিগমের নির্বাচনে শিলিগুড়ি মডেলে ফিরে এসেছে বাম ও কংগ্রেস। সম্প্রতি দুই দলের জেলা নেতৃত্বের আলোচনায় প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয় শিলিগুড়ির ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৩টি আসনে বামেরা লড়াই করবে, কংগ্রেস ১০টি আসনে লড়াই করবে। এছাড়া বাকি ১৪টি আসন নিয়ে আলোচনা চলছে দুই দলের মধ্যে। 

শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৩টি ওয়ার্ড আসনে জোট করে লড়াইয়ে নামছে দুই পক্ষ। জানা গিয়েছে ২০১৫ সালের পুরভোটে জয় পাওয়া ওয়ার্ডগুলি এবারও সংশ্লিষ্ট দলের হাতেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন শিলিগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। তিনটি নির্বাচনে শিলিগুড়িবাসী তৃণমূলকে পরাস্ত করেছে। অশোক ভট্টাচার্যকে সামনে রেখে জোট করে একসাথে যদি লড়াই করা যায়, তবে আবার শিলিগুড়ি পুরসভা দখল করতে পারা যাবে। 

এরই মাঝে অশোক ভট্টাচার্যকে ফোন করে উজ্জীবিত করেন দলের বর্ষীয়ান নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন দলকে লড়তে হবে। ফের পথে নেমে জমি দখলের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে পুরসভা নির্বাচন নিয়ে বাম কংগ্রেসের আসন বন্টন প্রসঙ্গে বিশেষ কোনও কথা বলতে চাননি অশোক ভট্টাচার্য।  

কলকাতা পুরসভার নির্বাচন মিটতেই বকেয়া পুরসভার নির্বাচন সেরে ফেলার দাবি উঠছিল। সেই পরিস্থিতিতে সোমবার সর্বদলীয় বৈঠক করে কমিশন। বৈঠক শেষে চার পুরসভার নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণা করা হয়। কমিশন জানায়, আগামী ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি, চন্দননগরে ৩৩টি, বিধাননগরে ৪১টি এবং আসানসোলের ১০৬ ওয়ার্ডে নির্বাচন।