সংক্ষিপ্ত
খোকনের মৃত্যুর পরই বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। দু'মাস পর রবিবার শ্বশুরবাড়ি ফেরেন তিনি। আর তাঁকে গ্রামে ফিরতে দেখেই তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় তিনজন স্থানীয় বাসিন্দা ও মৃতের বাড়ির লোকজন।
পরকীয়ার (Extra Marrital Affair) অভিযোগ তুলে গৃহবধূকে (House Wife) মারধর করার পর তাঁর চুল কেটে নিলেন এক দল গ্রামবাসী। রবিবার বিকেলের পর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানার (Ghatal Police Station) অজবনগর গ্রামের মধ্যপাড়ায়। এমনকী, এই মহিলার বাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় ৬ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিশ ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অজবনগর মধ্যপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন খোকন বড়দোলই (২৮)। পেশায় একজন গাড়ি চালক ছিলেন তিনি। ২ মাস আগে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বিষক্রিয়ার ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, খোকনের মৃত্যুর পিছনে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। পাড়ার এক গৃহবধূর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। সেই বিষয়টি কোনওভাবে গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে গিয়েছিলেন। তারপরই গৃহবধূর পরিবারের তরফে খোকনকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, খোকনের যে মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর পরিবারের সদস্যরাই পিকনিকের সময় নেশার পানীয়ে বিষ মিশিয়ে তা খোকনকে পান করিয়েছিল। তার জেরেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এই সন্দেহের তালিকায় ছিলেন গ্রামের এক মহিলা। এদিকে খোকনের মৃত্যুর পরই বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন তিনি। দু'মাস পর রবিবার শ্বশুরবাড়ি ফেরেন তিনি। আর তাঁকে গ্রামে ফিরতে দেখেই তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় তিনজন স্থানীয় বাসিন্দা ও মৃতের বাড়ির লোকজন। অভিযোগ, তারপরই ওই গৃহবধূর স্বামী ও পরিবারের লোকেদের সামনেই তাঁকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে তাঁর চুল কেটে দেওয়া হয়। এমনকী, তাঁর বাড়িও ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এই ঘটনায় মৃত খোকনের পরিবারের ৩ জন ও তাঁদের ৩ জন প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করে ঘাটাল থানার পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন- বিয়ে করে সংসার পাতার স্বপ্ন রাজমিস্ত্রিদের, প্রেমের ডাকে কি সাড়া দেবেন বালির ২ গৃহবধূ
কয়েকদিন আগে পরকীয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছিল বালি। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর নিজের সন্তানকে নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান বালির নিশ্চিন্দা থানার কর্মকার পরিবারের বধূ রিয়া এবং তার সঙ্গে ছিলেন জা অনন্যা। বেশ কিছুদিন নিখোঁজ থাকার পর জানা যায় পুলিশ সূত্রে জানা যায় বাড়িতে কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রি শেখর রায় এবং শুভ্রজিৎ দাসের সঙ্গেই সংসার ছেড়ে মুম্বই পাড়ি দিয়েছেন বালির দুই গৃহবধূ। কিন্তু, পরে ফের তাঁরা রাজ্যে ফিরলে ট্রেন থেকে তাঁদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এই মুহূর্তে অবশ্য জামিনে ছাড়া পেয়েছেন দুই যুবক। আর মন দিয়ে সংসার করছেন রিয়া ও অনন্যা। তবে প্রেমিকাদের বিয়ে করতে চান বলে জানিয়েছেন শেখর এবং শুভ্রজিৎ।