সংক্ষিপ্ত
বুধবার শিলিগুড়ির কাওয়াখালী গ্রাউন্ডে বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে সিঙ্গুর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের জেরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে রাজ্য রাজনীতিতে। এরপরই সরব হয় বিরোধী শিবির। রবিন দেব, সুজনের পর এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন লকেট ও অধীরও।
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরে মধ্যেই শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করল তৃণমূল। উত্তরবঙ্গবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "টাটাকে আমি তাড়াইনি, সিপিএম তাড়িয়েছে।" মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। কটাক্ষ আসতে থাকে বিভিন্ন মহল থেকে। সরব হন বাম নেতা রবীন দেব ও সুজন চক্রবর্তী-সহ একাধিক নেতা-কর্মী। শুধু বামেরা, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধীতায় সরব হয়েছে কংগ্রেস ও পদ্ম শিবিরও।
বুধবার শিলিগুড়ির কাওয়াখালী গ্রাউন্ডে বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে সিঙ্গুর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের জেরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে রাজ্য রাজনীতিতে। এরপরই সরব হয় বিরোধী শিবির। রবিন দেব, সুজনের পর এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন লকেট ও অধীরও।
বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী স্পষ্ট জানিয়েছেন, "বাংলা থেকে টাটাদের যে তাড়িয়েছে তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক হাজার কোটি টাকা খরচ করে সেখানে গাঁথনি তুলে ফেলেছিলেন দিদি।"
বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, "দীপাবলির আগে এত বড় মিথ্যা কথা। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পূর্বে টাটাকে বাংলা থেকে তাড়াতে এতদিন অনশন করলেন। কৃষি চাই, শিল্প চাই বলে টাটাকে বাই বাই বলে দিলেন। জমি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা, ফসলে লাভ দেওয়ার কথা বললেন। কৃষকরা আজও সেই লাভ পাননি। উনি ফিরেও তাকাননি। এখনও সার্টিফিকেট রয়েছে, কৃষক পরিবারগুলির ছেলেমেয়েদের চাকরি হওয়ার কথা ছিল। আর আজ এত বড় মিথ্যা কথা!সিপিএম, তৃণমূল নিজেরা ষড়যন্ত্র করে, এক গোয়ালে থেকে, মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।"
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের জবাবে বাম নেতা রবীন দেব বলেছেন, "বাংলায় একটা কথা আছে না, এই কথা শুনে ঘোড়ায়ও হাসবে। প্রলাপ বকছেন মুখ্যমন্ত্রী, মিথ্যা কথা বলছেন।" পুরোন স্মৃতি টেনে এনে তিনি বলেন, "২০০৬ সালে দেশি বিদেশি শক্তির সাহায্যে রামধনু জোট তৈরি করেছিলেন তিনি। বামপন্থীদের তৈরি করা রাজ্যে শিল্প ও কর্মসংস্থানের মম্ভাবনাকে ধ্বংস করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েকে তীব্র কটাক্ষ করলেন অপর এক বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বললেন, সকাল দুপুর সন্ধ্যা মিথ্যা কথা বলে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় সিঙ্গুরে টাটা প্রকল্পের বিরোধীতায় তাহলে যে ধরনায় বসেছিল তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে অবরোধ করেছিল বামেরা। টাটা যে বলেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথায় ট্রিগার টিপেছিলেন তা অত্যন্ত ভুল। টাটাকে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।" তিনি আরও সংযোজন করেন, "মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের জোয়ারে রাজ্যবাসী পাগল হয়ে গিয়েছে। এত চাকরি পাচ্ছে যে কাউকে চাকরির খোঁজে ভিন রাজ্যে যেতে হচ্ছে না।" মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের সর্বনাশ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন -
এবার ইডির জালে মানিক ভট্টাচার্য, রাতভর জেরার পর গ্রেফতার প্রাথমিকের প্রাক্তন সভাপতি
বালাসাহেব ঠাকরের প্রকৃত উত্তরাধিকারী কে? উত্তর না মেলায় দুই গোষ্ঠীকেই অন্তবর্তী চিহ্ন আর নাম কমিশনের
জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর আহত 'জুম', জানুন ভারতীয় সেনা বাহিনীর সারমের লড়াইয়ের কথা