সংক্ষিপ্ত
- করোনা আতঙ্কে উৎসবে ভাটার টান
- বিদেশে পদ্ম রপ্তানিকে ঘিরে অনিশ্চয়তা
- ফুলের চাহিদা নেই স্থানীয় বাজারেও
- আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা পদ্মচাষীদের
শাকসবজি থেকে ফল মূল সবেতেই জাতীয়, এমনকী আন্তর্জাতিক স্তরেও সুনাম কুড়িয়েছেন বাঁকুড়া জেলার চাষিরা। বিদেশের মাটিতে সফল জেলার ফুল চাষও। গত দু বছর ধরে বাঁকুড়ার পদ্মে পুজিতা হয়েছেন বিদেশের দুর্গা। দু বছর ধরে প্রবাসে পদ্ম পাঠিয়ে ভালো অঙ্কের লাভও করেছেন জেলার ফুল চাষিরা। কিন্তু চলতি বছরে করোনা পরিস্থিতিতে সেই আশা বিশ বাঁও জলে।
আরও পড়ুুুন: জমির কাজের সময় উদ্ধার হওয়া কলসি ঘিরে জল্পনা, মুর্শিদাবাদে ফের গুপ্তধনের খোঁজ
শারদোৎসব তো চলেই এল। আর পদ্মফুল ছাড়া দেবী দুর্গা পুজো কী আর সম্পূর্ণ হয়! কিন্তু করোনাকালে এবার উৎসবে ভাটার টান। বিদেশের কথা ছেড়েই দিন, স্থানীয় বাজারেও পদ্মের তেমন চাহিদা নেই। বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের কল্যাণী গ্রামের চাষি রামপদ দাস। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি পদ্ম চাষ করছেন। স্থানীয় একাধিক পুকুরে তিনি পদ্ম ফুলের চাষ করছেন। প্রতি বছর তাঁর চাষ করা পদ্ম বাঁকুড়া জেলা ছাড়িয়ে আশেপাশের জেলা এবং কলকাতার দুর্গা মণ্ডপে পৌঁছে যায়। জেলা উদ্যান পালন বিভাগের সৌজন্যে তাঁর পদ্ম পৌঁছেছে ইংল্যান্ড এবং সৌদি আরবের বিভিন্ন দুর্গা মন্ডপেও। বেশি মুনাফার আশায় এবার স্থানীয় বাজার, কলকাতা ও বিদেশেও সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল তাঁর। ২ কিংবা ৩টি নয়, এবার লিজ নিয়েছিলেন ৫টি পুকুর। ফুলও ফুটেছে যথেষ্টই। কিন্তু সব আশায় জল ঢেলে দিয়েছে করোনাভাইরাস। বিদেশে পাঠানো তো দুর অস্ত,স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বরাত আসেনি।
আরও পড়ুন: মাটি থেকে নির্গত গ্যাসে চলছে রান্না, রহস্যভেদে হলদিয়া থেকে নমুনা সংগ্রহ আইওসি-র
এদিকে বছরভর পদ্ম চাষ করে সংসার চলে। তার উপর পুকুর লিজ নেওয়ার টাকাও তো শোধ করতে হবে। স্রেফ রমাপদ একা নন, করোনা আতঙ্কের কারণে সংকটে পড়েছেন বাঁকুড়ার পদ্মচাষীরা সকলেই। তাহলে উপায়? বিপদের সময়ে পদ্মচাষীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে জেলার উদ্যান বিভাগ।