সংক্ষিপ্ত
- একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে বৃষ্টি হল না
- চড়া রোদে নাজেহাল নেতা, কর্মীরা
- সূর্য লড়াইয়ের রসদ দিল, দাবি মমতার
একুশে জুলাই মানে প্রতিবছরই বর্ষা হওয়াটা প্রায় অবধারিত। আর সমাবেশের শুরুতে বা মাঝে বৃষ্টি হলেই তৃণমূলনেত্রী তা শুভ বার্তা হিসেবেই ঘোষণা করতেন। ভরা বর্ষার মরশুমে অন্যান্য বছর একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে বৃষ্টি হওয়াটা অস্বাভাবিক না হলেও সেটাই তৃণমূল সমর্থকদের কাছেও ইতিবাচক বার্তাই বয়ে আনত।
আরও পড়ুন- একুশে জুলাইতেও স্ট্যান্ড ভর্তি বাস, এক বছরেই উল্টো ছবি জঙ্গলমহলে
কিন্তু এ বছর গোটা দক্ষিণবঙ্গই বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ করে বসে আছে। একুশে জুলাই যে একেবারে বৃষ্টি হয়নি, তা নয়। এ দিন সকালে কলকাতা এবং শহরতলিতে ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সমাবেশ চলাকালীন রোদের প্রবল তাপেই আগাগোড়া নাজেহাল হতে মঞ্চে থাকা নেতাকর্মী থেকে দূর, দূরান্ত থেকে আসা কর্মী সমর্থকদের। ব্যতিক্রম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃষ্টির বদলে কড়া রোদের মধ্যেও অন্য বার্তা খুঁজে পেয়েছেন তিনি। আর তা দিয়েই রোদে কাহিল হয়ে পড়া কর্মী সমর্থকদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরুতেই তৃণমূলনেত্রী বলেন, 'সকালে বৃষ্টি হয়েছে। তার পর রোদ উঠেছে। সূর্য আপনাকে তেজ দিচ্ছে। আরও তেজদীপ্ত হন। ২০১১ সাল পর্যন্ত মিটিং চলাকালীন বৃষ্টি হত। কিন্তু তার পর থেকে সভার আগেই বৃষ্টি হয়ে যায়।' বিজেপি-র বিরুদ্ধে কর্মী, সমর্থকদের আন্দোলনে নামতে উদ্দীপিত করতে মমতা বলেন, 'সূর্য বলছে, আমি তোমাদের আলো সরবরাহ করছি, তেজ দিচ্ছি, রুখে দাঁড়াও।'
মমতা যখন প্রখর রোদের মধ্যেই দীর্ঘ বক্তব্য রাখছেন, তখন মঞ্চে থাকা তৃণমূলের অনেককেই দেখা গেল সূর্যের তাপ থেকে বাঁচতে মাথা উত্তরীয় বা ছোট তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। নিজের বক্তব্যের শেষে পরিচিত কায়দাতেই স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূলনেত্রী। তাঁর সঙ্গে গলা মেলানোর জন্য দলীয় নেতাদের ডেকে নেন তিনি। কিন্তু টানা প্রখর রোদের মধ্যে বসে থেকে তাঁদের অনেকেই তখন ঝিমিয়ে পড়েছেন। তাই তাঁদের অনেকের গলা থেকেই প্রত্যাশিত জোর পাওয়া যাচ্ছিল না। যা লক্ষ্য করে স্লোগানের মাঝখানেই ধমক দেন মমতা। তখনও তিনি বলেন, সূর্যের থেকে সরাসরি তিনি শক্তি সঞ্চয় করছেন। আর তা দলীয় নেতা, কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
তবে বক্তব্যের শেষে অবশ্য প্রবল রোদের মধ্যে বসে থাকা সমর্থকদের পরামর্শ দেন মমতা। তিনি বলেন, প্রত্যেকেই দীর্ঘক্ষণ চড়া রোদে বসে রয়েছেন। কিন্তু সমাবেশ শেষ হয়ে গেলেও চট করে কেউ যেন রোদের মধ্যে জল না খান। তাহলেই শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।