সংক্ষিপ্ত
পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে অনেকেই নিজেদের আর্থিক ক্ষতির দিকটি তুলে ধরে সাহায্য প্রার্থনা করেন মমতার কাছে। সেই বিষয়টিও মানবিকতার সঙ্গে রাজ্য বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস দেন মমতা।
ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ইউক্রেন ফেরত পডুয়াদের (Students returning from Ukraine) মুখোমুখি হয়ে স্বস্তির বার্তা শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পরিস্কার জানালেন ইউক্রেন (Ukraine) থেকে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরে এসেছেন তা রীতিমতো দুঃস্বপ্ন (Nightmare)। তাই সেই কঠিন সময়ে প্রত্যেক পড়ুয়ার পাশে রয়েছে রাজ্য সরকার (Mamata Banerjee conveyed a message of relief)। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে পড়ুয়াদের মুখোমুখি হয়ে মমতা জানতে চান কারা এই রাজ্যে থেকে পড়াশোনা করতে চান। প্রত্যেক পড়ুয়াই তাতে সমর্থন জানান।
মমতা বলেন বাংলা অত্যন্ত শান্তির জায়গা। তিনি খুশি যে পড়ুয়ারা রাজ্যে থেকে পড়াশোনা করতে চাইছেন। তবে পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে অনেকেই নিজেদের আর্থিক ক্ষতির দিকটি তুলে ধরে সাহায্য প্রার্থনা করেন মমতার কাছে। সেই বিষয়টিও মানবিকতার সঙ্গে রাজ্য বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস দেন মমতা। তিনি বলেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের পড়াশোনার ব্যবস্থা রাজ্যে করে দেওয়া হবে। খরচও যাতে সাধ্যের মধ্যে হয়, তার ব্যবস্থা করা হবে। নির্দিষ্ট খরচের মধ্যে যাতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা পড়াশোনা চালাতে পারেন, তার ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় শিক্ষা দফতরের সচিব মণীশ জৈনকে।
আরও পড়ুন, আজ সকালে পেট্রোল-ডিজেলের কী দাম কলকাতায়, জ্বালানীর দাম বাড়ল কি সারা দেশে
আরও পড়ুন, তৃণমূলে যোগ দিতে তপন কান্দুকে চাপ দেন আইসি, অভিযোগ ঝালদায় নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রীর
মমতা জানান, মেডিক্যাল ইন্টার্ণদের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে সুযোগ দেওয়া হবে, এরই সঙ্গে দেওয়া হবে স্টাইপেন্ড। তবে তার আগে একটা কাউন্সিলিং হবে, যেটা প্রক্রিয়াটাকে সম্পূর্ণ করবে। মেডিক্যাল কাউন্সিলকে রাজ্য চিঠি দেবে বলে জানান মমতা। সেই চিঠিতে পঞ্চম বর্ষ ও চতুর্থ বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়াদের প্র্যাকটিস করতে দেওয়ার অনুমতি চাওয়া হবে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে, সরকারি বা বেসরকারি কলেজে পড়ার সুযোগ দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে রাজ্য কোটায় এক তৃতীয়াংশ সিটে সুযোগ দেওয়া হবে, স্কলারশিপের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের।
এদিনের অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মুখ থেকে জানেন ইউক্রেনে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা। তাঁরা কী কী সমস্যায় পড়েছিলেন, কেন তাঁরা ইউক্রেনে পড়তে গিয়েছিলেন তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যুদ্ধ আবহে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দেশে ফিরতে হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়েছিল মেডিকেল পড়ুয়াদের। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন অবশ্য জানিয়েছে, ফরেন মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েট পরীক্ষা পাশ করলেই এদেশে ইন্টার্নশিপ শেষ করতে পারবেন তাঁরা। তাতেই স্বস্তি ফিরেছে দেশে ফেরা পড়ুয়াদের মধ্যে।