সংক্ষিপ্ত
- বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যে তিরিশ হাজার কোটির ক্ষতি
- ক্ষতিপূরণ চেয়ে কেন্দ্রের কাছে হিসেব পেশ রাজ্যের
- এখনও পাওয়া যায়নি ক্ষতিপূরণ, বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
- বুলবুলের জেরে রাজ্যে তিরিশ হাজার কোটির ক্ষয়ক্ষতি
প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসে হেলিকপ্টারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তার পরেও বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের পর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এখনও কোনও ক্ষতিপূরণ পায়নি রাজ্য। এ দিন বিধানসভায় এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁর আশা, খুব শিগগিরই এই সাহায্য মিলবে।
গত ৯ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়েছিল ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। যার জেরে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দুই চব্বিশ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। এছাড়াও বুলবুলের প্রভাবে অসময়ের প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে গোটা রাজ্য জুড়েই ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এ দিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বুলবুলের জেরে রাজ্যের মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট পাঁচ লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী বুলবুলের জেরে রাজ্যের মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় তিরিশ হাজার কোটি টাকা। সেই ক্ষতিূরণের হিসেব কেন্দ্রীয় সরকারকেও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে কোনও সাহায্যই এসে পৌঁছয়নি। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেন, কেন্দ্রের সাহায্য আসবে বলে তিনি আশাবাদী। কারণ বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে তাঁর সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতির খোঁজ খবর নিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতি সামাল দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য অর্থ দফতরের পক্ষ থেকে বারোশো কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
বুলবুলের তাণ্ডবে মোট যে ষোলজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৯ জন মৎস্যজীবী রয়েছেন। এঁরা মূলত দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বাসিন্দা। ঝড়ের সময় ট্রলার উল্টে তাঁদের মৃত্যু হয়। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন, আগাম সতর্কতা সত্ত্বেও ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন ওই মৎস্যজীবীদের কেন ট্রলারে থাকতে দেওয়া হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।