সংক্ষিপ্ত

নবান্ন সূত্রে খবর, বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বৈঠকে। উপস্থিত থাকার জন্য মন্ত্রীদের ইতিমধ্যেই ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার বিকেলের বিমানেই দিল্লি উড়ে যাবেন তিনি। আর তার আগে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল দুপুর ১ টায় নবান্নে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলার সব মন্ত্রীদের বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- 'মোদীজির কাছে হাতজোড় করতে যাচ্ছেন', মমতার দিল্লি সফর ঘিরে কটাক্ষ দিলীপের

তবে দিল্লি যাওয়ার ঠিক আগে কেন হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক ডাকলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নবান্ন সূত্রে খবর, বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বৈঠকে। উপস্থিত থাকার জন্য মন্ত্রীদের ইতিমধ্যেই ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও কী কারণে বৈঠকে ডাকা হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। বৈঠক শেষ হওয়ার পরই দিল্লির বিমানে চড়বেন মুখ্যমন্ত্রী।  

আরও পড়ুন- আসেনি অ্যাম্বুলেন্স, রাস্তার পাশে গোয়াল ঘরেই জন্ম শিশুর

পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ২ অগাস্ট। কিন্তু, তার আগেই আগামীকাল বৈঠক ডাকলেন মমতা। এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সব মন্ত্রীদের মন্ত্রিসভায় ডাকা হয় না। আর সেই কারণেই গতকালের বৈঠকে শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রীরাই বৈঠকে যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- কোভিডে এখনও মৃত্যু থামেনি বাংলার ৫ জেলায়, শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগণা

তবে দিল্লিতে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে মমতার। তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর এই দিল্লি সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এছাড়া সোনিয়া গান্ধি, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, শরদ পাওয়ারের সঙ্গেও তাঁর বৈঠক করার কথা রয়েছে। প্রশাসনিক কর্তাদের ধারণা, মুখ্যমন্ত্রী নিজের অনুপস্থিতিতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের দায়িত্ব বোঝাতেই এই বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। তবে এই বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মধ্যে বাড়ছে জল্পনা। এই বৈঠকে কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে সে দিকেই নজর থাকবে তাঁদের।