সংক্ষিপ্ত
সামনেই রয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। আর সেকথা মাথায় রেখেই এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবস এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী একসঙ্গে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তা নজরে রেখেই বাংলার থিমের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘নেতাজি ও আজাদহিন্দ বাহিনী’।
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে (Republic Day Parade) বাদ দেওয়া হয়েছে বাংলার ট্যাবলো (Bengal tableau exclusion)। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠি লিখে আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, "কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে আমি হতবাক এবং ব্যথিত। এতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান করা হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল বাংলা। তাই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে বাংলার মানুষ ব্যথিত হয়েছেন।"
সামনেই রয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। আর সেকথা মাথায় রেখেই এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবস এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী একসঙ্গে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তা নজরে রেখেই বাংলার থিমের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘নেতাজি ও আজাদহিন্দ বাহিনী’। ট্যাবলোর থিম ছিল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এবং তাঁর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে অবদানকে স্মরণ করা। এই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলে যে এটি বাদ দেওয়ার অর্থ এই স্বাধীনতা যোদ্ধাদের ছোট করা। কিন্তু সরাসরি বাংলায় ট্যাবলোই বাতিল করে দিয়েছে মোদী সরকার। যা নিয়ে জোর চাপানউতর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে গত বছরের মতো এ বছরও কেন প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলার ট্যাবলো বাতিল করা হল, তা নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি। গত বছরও কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের কন্যাশ্রী ও একাধিক সামাজিক প্রকল্প-সহ ট্যাবলো বাতিল করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- মমতার বাংলায় কি এবার এলন মাস্কের টেসলা, তীব্র উপহাস বিজেপির
স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, অরবিন্দ ঘোষ থেকে বিরসা মুন্ডার মতো ব্যক্তিত্বের কী ভূমিকা ছিল চিঠিতে তাও জানিয়েছেন মমতা। লিখেছেন, ‘ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রথম জাতীয়তাবাদের মন্ত্র ‘বন্দেমাতরম’ লিখেছিলেন। যা পরে জাতীয় গান হয়। রমেশচন্দ্র দত্ত প্রথম ব্রিটিশদের ঔপনিবেশিক অর্থনীতির সমালোচনা করে প্রবন্ধ লিখেছিলেন। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দেশে প্রথম জাতীয় রাজনৈতিক সংগঠন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করেন।’
আরও পড়ুন- প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে বাংলার ট্যাবলো চালুর দাবি জানিয়ে অধীরের চিঠি
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, লিখিতভাবে এই ট্যাবলো বাতিলের ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী ট্যাবলো সংক্রান্ত কমিটি পাঁচটি বৈঠক করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে। কিন্তু তারপর আর কোনও বৈঠকে ডাকা হয়নি বাংলাকে। এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রকেরও কোনও চিঠি পায়নি নবান্ন। আর তাতেই আরও জল ঘোলা হচ্ছে। মমতার বক্তব্য বাংলার ট্যাবলো বাদ দেওয়ার মানে হল এই ইতিহাসকে অস্বীকার করা। যা বাঙালিকে অপমান করার সামিল।