সংক্ষিপ্ত
- টাকা নিয়ে ভাঙড়ে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনে চেষ্টা করল এক ব্য়ক্তি
- আক্রান্তের চিৎকার শুনে হামলাকারীকে ধরে ফেলেন স্থানীয়
- ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করেন তাঁরা
- মারের চোটে হাসপাতালে মারা যায় অভিযুক্ত
টাকা নিয়ে বিবাদ। প্রকাশ্যে এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করতে গিয়ে শেষপর্যন্ত গণপিটুনিতে মৃত্যু হল হামলাকারীরই। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। তদন্তে নেমে ছয়জনকে আটক করেছে কাশিপুর থানার পুলিশ।
নিহত বাকিবুল্লা মোল্লা ও আক্রান্ত মণিরুল ইসলাম দু'জনেই তৃণমূল কর্মী সক্রিয় কর্মী। জানা গিয়েছে, মণিরুল পেশায় ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসায়ী। বছর তিনেক আগে বাকিনুল্লাকে ৩৫ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাকিবুল্লা সেই টাকা আর ফেরত দেয়নি। মঙ্গলবার রাতে যখন ব্যবসার কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন মণিরুল, তখন পাওনা টাকা নিয়ে বাকিনুল্লার সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বচসা চলাকালীন আচমকাই ধারালো অস্ত্র নিয়ে মণিরুলের উপর চড়া হয় বাকিনুল্লা। একবার কোপ মেরেও দিয়ে সে। প্রাণ বাঁচাতে রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করতে করতে পালানোর চেষ্টা করেন মণিরুল। তার পিছু ধাওয়া করে বাকিনুল্লাও। এদিকে ততক্ষণে আক্রান্তের চিৎকার শুনে বাইরে বেরিয়ে এসেছেন আশেপাশের লোকজন। বাকিনুল্লাকে ধরে ফেলেন তাঁরা। শুরু হয় গণপিটুনি। শেষপর্যন্ত ঘটনাস্থলে গিয়ে দু'জনকেউ উদ্ধার করে কাশিপুর থানার পুলিশ। গুরুতর জখম বাকিনুল্লাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। শারীরিক অবস্থায় অবনতি হওয়া রাতেই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এনআরএসে ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পর মারা যান বাকিনুল্লা মোল্লা। এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে ছয়জনকে আটক করেছে কাশিপুর থানার পুলিশ। ঠিক কী ঘটেছিল? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।