সংক্ষিপ্ত
- ডিজিটাল ইন্ডিয়ার লোগো দিয়ে ভুয়ো ওয়েবসাইট
- স্কুলশিক্ষকের বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা
- কীভাবে চলত এই অসাধু ব্য়বসা
- গ্রেফতার প্রতারণাচক্রের মূল পাণ্ডা
ভারত সরকারের ডিজিটাল ইন্ডিয়ার লোগো দেওয়া ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে কোটি টাকা প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস। বনগাঁ থেকে গ্রেফতার মূল পাণ্ডা। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
মোদীর ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় স্বপ্নে দুঃস্বপ্নের কারিগরি। ভারত সরকারের ডিজিটাল ইন্ডিয়ার লোগো ব্যবহার করে চলছিল কোটি কোটি টাকার প্রতারণা। আবশেষে পুলিশের জালে সেই চক্রের চাঁই। পুলিশে সূত্রে খবর, সরকারি স্কুলে শিক্ষক এবং সহকারি পদে চাকরির বিজ্ঞাপন দিত এই অভিয়ুক্ত। বিভিন্ন নামকরা সংবাদপত্রে এই বিজ্ঞাপন প্রকাশ হওয়ায় জালিয়াতি সম্পর্কে ঠাওর করতে পারত না প্রতারিতরা। চাকরিপ্রার্থীদের ফাঁসাতে সেই বিজ্ঞাপনে দুটি ভুয়ো ওয়েবসাইটের নম্বর দেওয়া হত। যার সঙ্গে থাকত একটি টোল ফ্রী নম্বর। সেই নম্বর থেকেই জালিযাতির সূত্রপাত।
বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহী ব্যক্তিরা ওয়েবসাইট খুললে ক্লার্ক পদের জন্য ১৩০টাকা এবং শিক্ষক পদের জন্য ১৮০টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করানোর উল্লেখ থাকত ওয়েবসাইটে। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম সূত্রে খবর, এই ছকে প্রায় ৮২ হাজারের বেশি মানুষ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজেদের নাম রেজিস্টার করান। পরে বারুইপুরের এক মহিলা বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানাতে এই বিষয়ে অভিযোগ জানালে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে,চাকরি দেওয়ার নামে আসলে অনলাইন মারফত ব্যাংকে টাকা নিচ্ছে কোনও এক ব্যক্তি। এরপরই অভিযুক্ত সেই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। অবশেষে বনগাঁ থেকে অভিযুক্ত রাজা মিত্রকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর এমএপাস এই যুবক এই প্রতারণা চক্রের ফাঁদ পেতে প্রায় ১কোটি ৯লক্ষ ৫০হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ইতিমধ্য়েই তার প্রতারণা চক্রের শিকার হয়েছে ৮২হাজার ৪১৫জন। তার ৯টি ব্যাংক আ্য়কাউন্ট ফ্রিজ করে ৮১লক্ষ ৪৮হাজার ২২২টাকা, অনেকগুলি পাস বই বাজেয়াপ্ত করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাকে ৭দিনের পুলিশি হেফাজতে আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এর সাথে আর কারা জড়িত তা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।