সংক্ষিপ্ত

 

  • মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ঘটনা
  • মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে মারধর এক ব্যক্তির
  • মাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবাকে হাঁসুয়ার কোপ ছেলের
  • হামলার জেরে আলাদা হয়ে গেল ধড় এবং মুণ্ড

মদ্যপ বাবার অত্যাচারের হাত থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে হাঁসুয়ার কোপে বাবার ধড়- মুণ্ড আলাদা করে পালাল ছেলে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। মৃতের নাম সুকুমার হাজরা(৫৬)। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, বহরমপুরের বাসিন্দা পেশায় ক্ষেত মজুর সুকুমার হাজরা প্রতিদিনই মদ খেয়ে নেশা করে বাড়ি ফিরে স্ত্রী যমুনা হাজরার উপরে অকথ্য অত্যাচার এবং মারধর করতেন বলে অভিযোগ। ওই দম্পতির চার সন্তান। সোমবারও বাড়ি ফেরার পরে ভাত খাওয়া নিয়ে সুকুমারবাবুর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর বচসা শুরু হয়। যমুনাদেবীকে মারতে শুরু করেন সুকুমারবাবু। 

আরও পড়ুন- রাতের শহরে ফের আক্রান্ত পুলিশ, সার্জেন্টের আঙুল কামড়ে দিলেন বাইক চালক

আরও পড়ুন- অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে গণধর্ষণ, লজ্জায় আত্মঘাতী প্রেমিক, নৃশংসতা উদয়পুরে

তখনই মাকে বাঁচাতে এগিয়ে যায় বিশ্বনাথ হাজরা। বাবাকে বাধা দিলে আরও ক্ষেপে যান সুকুমারবাবু। তিনি তখন একটি হাঁসুয়া নিয়ে যমুনাদেবীর উপরে হামলা করতে উদ্যত হন বলে অভিযোগ। তখনই হাতের কাছে থাকা অন্য একটি হাঁসুয়া নিয়ে বাবার গলায় সজোরে কোপ মারে ছেলে বিশ্বনাথ। তার এই আঘাতেই সুকুমারবাবু ধড় থেকে মুণ্ড আলাদা হয়ে যায়। ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে  পালায় অভিযুক্ত বিশ্বনাথ। 

সুকুমারবাবুর স্ত্রী যমুনাদেবী বলেন, 'আজ ওই মদের জন্যই আমার পরিবার ভেসে গেল। ছেলে আমাকে স্বামীর হাত থেকে বাঁচাতে বহু চেষ্টা করেছিল। তার পরেই রাগের বশবর্তী হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে।'