সংক্ষিপ্ত
- মণীশ শুক্লর আততায়ীরা লুকিয়ে ছিল সামনেই
- দীর্ঘ একমাস ধরে হাতের কাছেই ঘুরে বেড়িয়েছে তারা
- তদন্তে নেমে ভয়াবহ তথ্য আবিষ্কার করল পুলিশ
- এক নির্মিয়মাণ ফ্ল্যাটেই ছিল তাদের আস্তানা
রবিবার ভরসন্ধ্যায় প্রকাশ্যে খুন মণীশ শুক্ল। কীভাবে সম্ভব হল! রে রে পড়েগিয়েছিল সর্বত্র। কীভাবে খুন, কখন কেন, নানা প্রশ্ন উঠে এসেছে সাধারণের মনে। পুলিশ প্রশাসণকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি দলীয় কর্মীরা। অথচ সেই পুলিশই দুদিনের মাথায় সামনে তুলে ধরল ভয়াবহ তথ্য। হটকারিতায় খুন নয়। রীতিমত পরিকল্পণা মাফিক ছক করে খুন করা হয়েছে মণীশকে। বর্তমানে সিবিআই-য়ের হাতে তদন্তের ভার গেলেও, মণীশের খুনে যুক্ত আততায়ীদের ঠিকানার হদিশ পেল পুলিশ।
খুনের স্পট থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে এক নির্মিয়মাণ ফ্ল্যাটের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল তারা। তদন্তে নেমে পুলিশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ওই বাড়ির ঠিকানা। নাসির খান নামক এক সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিশ হদিশ পায় এই বাড়ির। সেখান থেকে উদ্ধার হয় তাঁদের ব্যবহার করা জিনিস, বিছানা বালিশ প্রভৃতি। অনুমান করা হচ্ছে এখান থেকেই নিত্য চলত নজরদারি, পরিকল্পনা করেই খুন করা হয় মণীশকে। এই ফ্ল্যাটে তিন থেকে চারজন যুবক ভাড়া থাকতেন।
এই ফ্ল্যাটে থাকা অজ্ঞাত পরিচয়ের যুবকেরা এখন বেপাত্তা। স্থানীয়দের কথায় তাঁদের কখনই দেখা যায়নি সেভাবে। একজন এসে দুবেলা খাবার দিয়ে যেত। কিন্তু তারা সব সময় মুখে মাস্ক দিয়ে থাকত। তাই সেভাবে চেনা যেত না। মণীশ খুন হওয়ার পর থেকেই এলাকাতে তাদের আর দেখা যায়নি। এরা স্থানীয় নয়, তাই গোয়েন্দা বিভাগের ধারনা, মণীশের সুপারি দিয়ে কেউ বা কারা ভিনরাজ্য থেকে ছেলেদের নিয়ে এসেছিল। এই ফ্ল্যাটে খুররমকেও যেতে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকবার।