সংক্ষিপ্ত

  • পুরুলিয়ায় বিজেপি-তে ভাঙন
  • বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার হিড়িক পুরুলিয়ায়
  • দলীয় সাংসদের উপরে ক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের
  • পুরুলিয়ার সব আসনে জয়ের আশা চ্যালেঞ্জ তৃণমূল নেতারা

যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর উপরে ক্ষোভ বাড়ছে বিজেপি কর্মীদের। আর সেই সুযোগেই গেরুয়া শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে নিচ্ছে তৃণমূল। আর এবার বিজেপি-তে বড়সড় ভাঙন ধরিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পুরুলিয়ার সবকটি আসন দখল করার চ্য়ালেঞ্জ ছু়ড়লেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়। 

এ দিন পুরুলিয়া শহরের রবীন্দ্র ভবনে 'চলো যাই তৃণমূল' নামে একটি অনুষ্ঠান করে অন্যান্য দল থেকে নেতা কর্মীদের যোগদানের ব্যবস্থা করেছিলেন শাসক দলের নেতারা। সেই অনুষ্ঠানেই বিজেপি সহ বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীরা তৃণমূলে এলেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জয়পুর বিধান সভার ফরোয়ার্ড ব্লকের  প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্তমান বিজেপি নেতা  বিন্দেস্বর মাহাতো, বিজেপির প্রাক্তন পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিকাশ মাহাতো, ২০১৬ সালের ভোটে পুরুলিয়া বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী  নগেন্দ্র ওঝা সহ একাধিক নেতা কর্মীরা। এই নেতাদের অধিকাংশই দলের সাংসদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ছিলেন বলে দাবি তৃণমূল  নেতাদের।

এ দিনের অনুষ্ঠানে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, পুরুলিয়ায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। 

সুজয়বাবুর দাবি, বিজেপি-র এই নেতা কর্মীরাই লোকসভা নির্বাচনের সময় দলকে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু এখন সেই সাংসদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বিজেপি নেতাদেরও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে রেখে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ক্ষোভেই তাঁরা দল ছেড়েছেন। বিজেপি-র আবার দাবি, যে নেতাদের এ দিন যোগদান করানো হয়েছে, তাঁদের আগেই বহিষ্কার করা হয়েছিল। 

জেলা সভাধিপতি এবং তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়  এ দিন চ্যালেঞ্জ ছু়ড়ে দিয়ে বিজেপি-কে বলেন, তৃণমূলের পুরুলিয়া আাবার ফিরে আসবে। আগামী বিধানসভা ভোটে পুরুলিয়ার ৯ টি আসনের মধ্যে সবকটিই তৃণমূল জিতবে বলে দাবি ওই তৃণণমূল নেতা। তা না হলে তিনি জেলা সভাধিপতির পদ ছাড়বেন বলেও চ্যালেঞ্জ থুড় যাবনা।