সংক্ষিপ্ত

আনিস খানের মৃত্যুর বিচার চেয়ে প্রথম থেকেই রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হয়েছিল ছাত্র-যুবরা। আর সেই আন্দোলন ও সংগ্রামকে ভয় পেয়েছে এমনটাই মত রাজ্যের বামপন্থীদের। রাজ্য সরকার প্রতিবাদী কণ্ঠ শুনতে চাইছেন না বলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হয় বামেরা। 

অবশেষে জামিন (Minakshi Mukherjee get bail) পেলেন ডিআইএফওয়াই নেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়। আমতার ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যা (Anis Khan Death) কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নামার জন্য ১৬ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছিল। সেই ১৬ জনের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মীনাক্ষিকে। তবে, আজ নতুন করে জামিনের আবেদন করা হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে এদিন। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা হয়েছিল।

আনিস খানের মৃত্যুর বিচার চেয়ে প্রথম থেকেই রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হয়েছিল ছাত্র-যুবরা। আর সেই আন্দোলন ও সংগ্রামকে ভয় পেয়েছে এমনটাই মত রাজ্যের বামপন্থীদের (CPIM Protest)। রাজ্য সরকার প্রতিবাদী কণ্ঠ শুনতে চাইছেন না বলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় (Social Media) হয় বামেরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মীনাক্ষি-সহ ১৬ জনের মুক্তি চেয়ে মিছিল সংগঠিত হয় বামেদের পক্ষ থেকে। গত ৪ এপ্রিল তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুরের পর আজ কোর্ট খুললে ফের তাদের জামিনের জন্য আবেদন জানানো হয়। তবে আজকে ১৫০০ টাকার ব্যক্তিগত জামিনে ওই ১৬ জনকে মুক্তি দিয়েছে আদালত। যদিও মামলা চলাকালীন তাঁদেরকে ফের আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিলে তাঁদেরকে উপস্থিত থাকতে হবে বলেই নির্দেশ দেন বিচারক। 

আরও পড়ুন- 'মুখ্যমন্ত্রীর ইশারায় মহিলা বিধায়করা রাজ্যপালকে হেনস্থা করেছে', বিস্ফোরক শুভেন্দু

উল্লেখ্য ২৬ ফেব্রুয়ারি আনিসকাণ্ডে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বামেরা। আর সেই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মীনাক্ষি। বিক্ষোভের মাঝেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বামেদের। সেই সময় পুলিশের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে মীনাক্ষি-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে। এরপরই গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এরপর থেকে একাধিকবার ধৃতদের জামিনের আবেদন জানানো হয়, কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে আজ হাওড়া আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে তাঁদের। মঙ্গলবার সকালেই মীনাক্ষি জেল থেকে বেরবেন বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশকে আক্রমণের মতো একাধিক অপরাধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন- আজ বাজেট অধিবেশন, বহু বিতর্কের পর বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল

বামেদের বক্তব্য ছিল, মীনাক্ষিদের বিরুদ্ধে এই মামলা রাজনৈতিক মামলা ছাড়া আর কিছুই নয়। যে পুলিশ কর্মী পাঁচলার গোলমালে আহত হয়েছিলেন তাঁর আঘাতও গুরুতর নয় বলেই দাবি বাম নেতাদের। এমনকী, সেই পুলিশ কর্মী হাসপাতাল থেকে ছুটিও পেয়ে যান। আর সেই সব বিষয়কে মাথায় রেখেই বার বার জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। অবশেষে সেই আর্জি মঞ্জুর হল আজ।

আরও পড়ুন, 'মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ডিপার্টমেন্ট থেকেই ফাঁস হয়', পরীক্ষার সকালেই বিস্ফোরক দিলীপ

এদিকে, আনিস খানের মৃত্যুর মামলায় সিটের তদন্তে খুশি নয় তাঁর পরিবার। আমতার ছাত্রনেতাকে কে বা কারা খুন করল, এর পিছনে সত্যিই পুলিশ জড়িত আছে কি না, তা জানতে বারবার পথে নেমেছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। এখনও সিবিআই তদন্তে অনড় আনিসের পরিবার। রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা নেই বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।