সংক্ষিপ্ত
ইউক্রেন থেকে ঘরে ফিরল উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা সৌরভ বাগচী। দই মিষ্টি খাইয়ে বরণ করে ঘরে তুলল ছেলেকে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের ব্লকের হরিহরপুরের বাগচী পরিবার।
ইউক্রেন ( Russia Ukraine War ) থেকে ঘরে ফিরল উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা সৌরভ বাগচী (Sourav Bagchi) । দই মিষ্টি খাইয়ে বরণ করে ঘরে তুলল ছেলেকে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের ব্লকের হরিহরপুরের বাগচী পরিবার। তবে শুধু বাগচি পরিবারই নয়, প্রচুর মানুষ গ্রামের এই মেধাবী ছাত্রকে বরণ করে নিতে তার বাড়ির সামনে ভিড় জমায়। তবুও বাড়ি ফিরেও শান্তি পেল না উত্তর দিনাজপুরের সৌরভ। কারণ বন্ধুরা যে এখনও আটকে ইউক্রেনেই।
বরণ করে ঘরে তুলল সৌরভকে
টান টান উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠাকে কাটিয়ে অবশেষে ইউক্রেন থেকে ঘরে ফিরলো উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের ব্লকের হরিহরপুরের বাসিন্দা সৌরভ বাগচী। রবিবার বিকেলে দিল্লি থেকে সৌরভের বিমান এসে নামে বাগডোগরা বিমান বন্দরে। সেখান থেকে রাত ১০ টা নাগাদ কালিয়াগঞ্জের হরিহরপুরের বাড়িতে এসে পৌঁছায় সৌরভ। আপ্লুত বাবা মা ছেলেকে জড়িয়ে ধরে আবেগে কান্নায় ভাসলেন। পাড়া প্রতিবেশী থেকে স্থানীয় কাউন্সিলর সককেই ফুলের মালা আর পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নিল ঘরের ছেলেকে। মা সীমা দাস বাগচী বাবা নিতীশ বাগচী দই মিষ্টি খাইয়ে যেমনভাবে বরণ করে সেভাবেই আনন্দাশ্রু নিয়ে বরণ করে ঘরে তুলল ছেলেকে। ছেলে সৌরভ কে ইউক্রেন থেকে ফিরে পেয়ে খুশীর হাওয়া কালিয়াগঞ্জের হরিহরপুর এলাকায়।
ছোট্ট একটি হোটেল চালিয়ে দিন গুজরান করেন সৌরভের বাবা
বাবা নিশীথ বাগচী ছোট্ট একটি হোটেল চালিয়ে দিন গুজরান করেন৷ ছেলের চোখে ছিল ডাক্তারী পরার স্বপ্ন। ছেলে সৌরভের সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে ইউক্রনের খারকিভে ২০১৯ সালে ডাক্তারি পড়তে পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হতেই সবকিছু ওলট পালট হয়ে যায়। এরপর আসিস সহ তার বেশ কয়েকজন বন্ধু প্রায় সাত দিন মাটির নিচে বাঙ্কারে আশ্রয় নিউ।এরপর তাঁরা ভারতীয় বন্ধুরা মিলে নিজেদের উদ্যোগে প্রাণ হাতে করে খারকিভ থেকে রওনা দেন।
ইউক্রেনে আটকে থাকা বন্ধুদের ফেরত আনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান সৌরভ
এরপর মাঝখানের কয়েকটা দিন, রীতিমতো আতঙ্ককে সঙ্গী করে কেটেছে। কখনও বিমান বাতিল হয়েছে। কখনও টানা বাংকারে কাটাতে হয়েছে। যেখানে থেকেছেন তাঁর কাছেই বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। কোনও রকমে বাসে করে ও ১৫ কিলোমিটার হেঁটে ইউক্রেন সীমান্তে পৌঁছোন তাঁরা। ট্রেনেও জায়গা পাননি। এরপর পোল্যান্ডে পৌঁছে সেখান থেকে দূতাবাসের কর্মীদের সাহায্যে দিল্লির বিমান ধরার সুযোগ পান।রবিবার বাড়িতে পৌঁছোতেই সৌরভের সঙ্গে দেখা করেন পাড়া প্রতিবেশী থেকে আত্মীয়স্বজনেরা। সৌরভকে স্বাগত জানিয়ে মিষ্টি খাইয়ে দেন তার প্রিয়জনরা। ইতিমধ্যেই প্রচুর মানুষ গ্রামের এই মেধাবী ছাত্রকে বরণ করে নিতে তার বাড়ির সামনে ভিড় জমায়। দেশে ফিরতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে সৌরভ। তাঁর আরও ডাক্তারি পড়ুয়া বন্ধুরা এখনও আটকে রয়েছেন ইউক্রেনে। তাঁদের ফেরত আনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান সৌরভ।