সংক্ষিপ্ত

ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপির চাপানউতোর। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়াতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।

১০০ দিনের কাজে (100 Days Work) মাটি ভরাট না করেই ৩০ লক্ষ টাকা (30 Lakhs) তুলে নেওয়ার অভিযোগ। এমনই ঘটনা ঘটেছে মালদহের (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর (Harischandrapur) ২ নম্বর ব্লক এলাকার দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। অভিযোগের তির শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে। মাটি ভরাটের কাজ না করেই লক্ষাধিক টাকা নয়-ছয় করার অভিযোগ উঠেছে ওই পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে। এমনকি এলাকার মৃত ব্যক্তিদের জব কার্ড ব্যবহার করে এই দুর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ দৌলতনগর গ্রাম-পঞ্চায়েতের ১০৬ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য কুলসুম বিবি ও তার স্বামী আরজাউল হক মিলিত ভাবে এই দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০৬ নম্বর সংসদ এলাকায় লোখিয়া ঘাট ব্রিজ থেকে ছুট্টামাঠ পর্যন্ত একটি রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ ১০০ দিনের প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে জানা যায় ওই কাজ না করেই লক্ষাধিক টাকা ওই কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল তা সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করে নিয়েছেন শাসকদলের সদস্যা কুলসুম বিবি ও তার স্বামী আরজাউল হক। 

এই টাকা তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে গ্রামের মৃত ব্যক্তিদের জব কার্ড বলে অভিযোগ। অথচ ওই এলাকায় মাটি পড়েনি বলে দাবি গ্রামবাসীদের। এই কাজে তাকে মদত যুগিয়েছে তার স্বামী আরজাউল হক। এদিকে এই নিয়ে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখানো সময় সেখানে ওই পঞ্চায়েত সদস্যার ভাসুর গিয়ে গ্রামবাসীদের হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। কিন্তু গ্রামবাসীদের প্রতিবাদের মুখে পরে ওখান থেকে পালাতে বাধ্য হয় অভিযুক্ত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসকদলের সদস্যা কুলসুম বিবির ভাসুর জিয়াবুর হক।

এদিকে গ্রামবাসী মিলিত ভাবে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তারা মিলিত ভাবে এই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই অভিযোগের সুরাহা হয়, ততক্ষণ তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে গ্রামবাসী সূত্রে খবর। শাসকদলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে এ ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে। 

একের পর এক শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় চরম অস্বস্তিতে তৃণমূলের ব্লক ও জেলা নেতৃত্ব। সম্পূর্ণ ঘটনাটি দলীয় স্তরে খতিয়ে দেখার প্রস্তাব দিয়েছেন তৃনমূলের ব্লক সভাপতি হজরত আলী। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে ব্যাখ্যা করেছেন তৃণমূলের অভিযুক্ত ওই পঞ্চায়েত সদস্যা কুলসুম বিবির স্বামী আরজাউল হক। 

অন্যদিকে সমস্ত ঘটনা নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক কিষান কেডিয়া কটাক্ষের সুরে বলেন রাজ্য-জুড়ে সমস্ত পঞ্চায়েতে তৃণমূল শাসিত পঞ্চায়েত গুলি একের পর এক দুর্নীতি করে চলেছে। শুধুমাত্র এলাকার উন্নয়ন কাগজে-কলমেই হচ্ছে। বাস্তবে কিছুই হচ্ছে না। প্রতিবাদ করতে গেলেই জুটছে মার। না হলে প্রাণনাশের হুমকি। এই সরকারের সময় ঘনিয়ে এসেছে। আগামী নির্বাচনের মানুষদের যোগ্য জবাব দেবে।

পুরো ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপির চাপানউতোর।গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়াতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বিজয় গিরি জানান অভিযোগ জমা পড়েছে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।