সংক্ষিপ্ত

দুপুরে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩৭ নম্বর বুথ দখল করতে যায় কিছু দুষ্কৃতী। সে সময় সিপিএম প্রার্থী সঞ্জীব মল্লিক প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে পুলিশের সামনেই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। 

সর্বত্র অশান্তির আবহে ভোট হল বীরভূমের তিনটি পুরসভায়। দুটি পুরসভায় কয়েকটি আসনে ভোট হলেও সেখানেও ছাপ্পা মারা হয়েছে বুথ দখল করে, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধে সিপিএম ও বিজেপির দুই প্রার্থীকে থানায় আটকে রেখে নির্বাচন করানোরও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ইতিমধ্যেই বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভায় ১৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫ টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে শাসক তৃণমূল। ১৩ টি ওয়ার্ডে সকাল থেকে নির্বঘ্নে ভোট হলেও বেলা বাড়তেই বুথ দখল করে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। সর্বত্র বহিরাগত দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ফের দেখল রামপুরহাট শহরের মানুষ। দুপুরে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩৭ নম্বর বুথ দখল করতে যায় কিছু দুষ্কৃতী। সে সময় সিপিএম প্রার্থী সঞ্জীব মল্লিক প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে পুলিশের সামনেই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। 

মারধর করা হয় সঞ্জীবের পরিবারকেও। সেখানেই ভাঙ্গা হয় ইভিএম। যদিও পুলিশের দাবি সঞ্জীব মল্লিকই নাকি ইভিএম ভেঙেছে। এই অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। প্রতিবাদে সিপিএম দুমকা রোড অবরোধ করে। এরপর পুলিশ সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণ সহ তিনজনকে আটক করে। ঘণ্টাখানেক পর নতুন ইভিএম নিয়ে এসে ভোট শুরু হয়। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিকেলে ১০৮ নম্বর বুথ দখল করতে গেলে প্রতিরোধ গড়ে তোলে বিজেপি প্রার্থী রশ্মি দে। এনিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। এরপরেই পুলিশ রশ্মি দে’কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের অভিযোগ, রশ্মি দে ইভিএম ভাঙার চেষ্টা করেছে। যদিও প্রিজাইডিং অফিসার এবং সেক্টর অফিসার পরিস্কার জানিয়েছেন ইভিএম ভাঙার কোন চেষ্টা হয়নি। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল ধীবর নিজের ভোট নিজে দিতে পারেননি। তিনি বলেন, “আমি এবং আমার পরিবার যখন ভোট দিতে গেলাম তখন জানালাম ভোট হয়ে গিয়েছে। শুধু আমি নয়, পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারেনি”।

আরও পড়ুন-যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, ভিন্টেজ কার নিয়েই কলকাতার রাস্তায় নেমে বড় চমক মদনের

আরও পড়ুন- কাজের চাপে আত্মহত্যা, রেলের কর্মীর মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ হাওড়ার লিলুয়া ইয়ার্ডে

আরও পড়ুন- যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনে আটকে গাইঘাটার যুবক, উদ্বেগে গোটা পরিবার

এছাড়া রামপুরহাট পুরসভার বাকি ওয়ার্ড গুলিতে বুথ দখল করে ভোট করা হয়েছে। সঞ্জীব বর্মণ বলেন, “শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের প্রার্থীকে মারধর করেছে। ইভিএম ভেঙেছে। পুলিশ উল্টে আমাদের প্রার্থীকেই গ্রেফতার করেছে। তারই প্রতিবাদ করছিলাম। আমাদের পুলিশ আটক করল”। রামপুরহাটের বিধায়ক, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোথাও অশান্তি হয়নি। সর্বত্র শান্তিতে ভোট হয়েছে। সিপিএম প্রার্থীকে মারধরের কোন অভিযোগ থাকলে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে”।