সংক্ষিপ্ত
হেরিটেজ উৎসবে যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও হাজির। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অতিথিদের দর্শনীয় স্থানগুলি ঘুরিয়ে দেখানো সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান দিয়ে হেরিটেজ ফেস্টিভ্যালের দিনগুলিকে সাজানো হয়েছে।
একেবারে যেন চাঁদের হাট। আর রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় (Sunday Evening) সেই মাহেন্দ্রক্ষনে ঐতিহাসিক শহর মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) সুদূর সাত সমুদ্র তেরো নদীর পাড়ের নিউইয়র্ক সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে অতিথিদের আগমনে (expatriate guests) জমে উঠল 'মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল' (Murshidabad Heritage Festival)। রাজ্য সরকারের পর্যটন দপ্তর থেকে শুরু করে এমএসএমই, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির আয়োজিত মোতিঝিল (প্রকৃতি তীর্থ) প্রাঙ্গণ যেন এক মোহময় জগত।
জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদীও আবেগ তাড়িত হয়ে পড়লেন। নবাবি তালুকের হেরিটেজ উৎসবে যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও হাজির। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অতিথিদের দর্শনীয় স্থানগুলি ঘুরিয়ে দেখানো সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান দিয়ে হেরিটেজ ফেস্টিভ্যালের দিনগুলিকে সাজানো হয়েছে। বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে মুর্শিদাবাদকে তুলে ধরতেই হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সঙ্গে এক গুচ্ছ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
হেরিটেজ উৎসবে যোগ দিতে নিউইয়র্ক থেকে সস্ত্রীক এসেছেন অজয় জৈন, বিরাজ দুগারিয়া। অজয় জৈন বলেন, চোখের সামনে এমন দৃশ্য জন্মেও ভোলার নয়। নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে স্থাপত্য, ভাস্কর্য নিদর্শনের পাশাপাশি বহু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। মুর্শিদাবাদকে বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরতে এটি একটি মহতি প্রচেষ্টা"।
মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সহ সভাপতি সন্দীপ নলাখ্যা বলেন, এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মুর্শিদাবাদকে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। মানুষ মুর্শিদাবাদের প্রতি আরও বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এবছর প্রথম রাজ্য সরকারের তিনটি দপ্তর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে"।
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল আগামী দিনে মুর্শিদাবাদের বুকে একটি ল্যান্ডমার্ক হয়ে থাকবে। জেলার পর্যটক স্বপন সমাজদার, অনিল ভট্টাচার্য বলেন,"বিশ্বের দরবারে আজ থেকে নতুন ইতিহাস রচনা করতে চলেছে মুর্শিদাবাদ এনিয়ে কোন দ্বিধা থাকবে না"।