সংক্ষিপ্ত
- ঝাড়গ্রামের বিনপুরে প্রতিমা বিসর্জনের সামিল মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা
- শুক্রবার সকালে বিনপুরে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা বের করেছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা
- তাঁদের জন্য রাস্তার মোড়ে জল ও খাবার ব্যবস্থা করেন মুসলিম যুবকরা
- বিসর্জন শোভাযাত্রায়ও শামিল হন অনেকেই
মাথায় ফেজ টুপি পরে কেউ পানীয় জল ও লাড্ডু বিলি করছেন, তো কেউ আবার নিজেই সামিল হলেন বির্সজনের শোভাযাত্রায়। দুর্গাপুজোর ভাসানে সম্প্রীতির এমনই ছবি দেখা গেল ঝাড়গ্রামের বিনপুরে।
পঞ্জিকা মতে, দশমী ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু দুর্গাপুজো তো আর এখন চারদিনের উৎসব নেই। চতুর্থী থেকে যেমন মণ্ডপে মণ্ডপে মানুষের ঢল নামে, তেমনি প্রতিমা বিসর্জন পর্বও চলে দশমীর পরেও। জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের বিনপুরে শোভাযাত্রা করে প্রতিমা বিসর্জনের পরিকল্পনা করেছিলেন দুটি সর্বজনীন পুজোর উদ্যোক্তারা। সেইমতো শুক্রবার রাতে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রাও বের হয়। দীর্ঘপথ পরিক্রমা করতে গিয়ে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে কিংবা কারও ক্ষিদে কিংবা তেষ্টা পায়! তাহলে? আগে থেকেই শোভাযাত্রা যে পথ দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, সেই পথের মোড়ে মোড়ে জলসত্র খুলেছিলেন স্থানীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের যুবক। শুধু তাই নয়, মাথায় টুপি পরেই যাঁরা বিসর্জন শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের লাড্ডু ও মিষ্টি বিলিও করেন তাঁরা। অনেকে তো আবার বিসর্জন শোভাযাত্রায় অংশও নেন। অভিনব উদ্যোগের সামিল হন নয়াগ্রাম ইউথ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যরা। সংগঠনের সম্পাদক শেখ আলিসান বলেন, 'দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। এই উৎসবকে কোনও ধর্মের গণ্ডিতে আবদ্ধ না রেখে সকলেই মিলেই আনন্দ ভাগ করে নিলাম। আমরা বাঙালি, এটাই তো আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়।'
এদিকে বিসর্জন শোভাযাত্রা বেরিয়ে এমন অ্যাপায়ণ পেয়ে অভিভূত পুজো উদ্যোক্তারাও। পুজো কমিটির সদস্য মিলন মণ্ডল বলেন, 'সংখ্যালঘু ভাইদের এই উদ্যোগ সত্যিই ভাল লাগলো। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের সম্পর্ক আরও মজবুত হল।'