সংক্ষিপ্ত
টুইট করার কিছু সময় পর বাবুল সুপ্রিয়োর টুইটার প্রোফাইলে গিয়ে দেখা যায় তা ডিলিট হয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে ফের নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে।
অন্যান্য রাজ্যের মত গোয়াতেও ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধিতে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল-কংগ্রেস। এদিকে এবারের বিধানসভা ভোট উপলক্ষ্যে গোয়াতে ঘাসফুল শিবিরের তরফে তারকা প্রচরকের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। এদিকে প্রচারে যেতেই তাঁর উপর হামলার অভিযোগ উঠল। এমনকী সেই কথা নিজেই তিনি টুইটারে জানান এদিন। তারপর থেকেই তা নিয়ে জোরদার জল্পনা শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। এদিকে টুইট করার কিছু সময় পর বাবুল সুপ্রিয়োর টুইটার প্রোফাইলে দেখা যায় তা ডিলিট হয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে ফের নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে।
এদিকে প্রথমে করা টুইটে বাবুল লেখেন, "গোয়ার স্থানীয় একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতী আমার উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। কংগ্রেস ও বিজেপি-র মতো দুই জাতীয় দলের আশীর্বাদেই নির্বাচনে লড়ছে ওই দলটি। কিন্তু নিরাপত্তাক্ষীদের জন্য আমি রক্ষা পেয়েছি।’’ যদিও কোনও দলের নাম তিনি শুরুতে করেননি। এদিকে তাঁর এই টুইট পোস্টের পরই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন ঘাসফুল সমর্থকেরা। যার জেরে বাংলার বুকেও গোয়া নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়ে যায় জোরদার চর্চা। কিন্তু কেন তিনি টুইট করেও ফের তা ডিলিট করলেন তা নিয়েই ঘনাচ্ছে রহস্য। এদিকে তাঁর টুইটে কংগ্রেস ও বিজেপি-র অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলকেও ট্যাগ করে বাহুল। যা আরও বাড়ে বিতর্ক।
আরও পড়ুন -ববিতা ফোগটের কনভয়ে হামলা, প্রচারের মাঝেই বিরোধীদের তীব্র ভাষায় কটাক্ষ তারকা প্রার্থী
তবে শেষ পাওয়া আপডেট অনুসারে এই বিষয়ে তিনি এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ জানাননি। হামলার পরেও কেনও তা জানানো হল না তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। এদিকে সাম্প্রতিক কালে বিজেপি-র সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুলে নাম লেখান বাবুল। যা নিয়েও তৈরি হয় তীব্র বিতর্ক। এমনকী দল ত্যাগের পর বারেবারেই পদ্ম নেতাদের তোপের মুখেও পড়েন তিনি। এমতাবস্থায় বাবুলের এই টুইট রহস্য নিয়েই নতুন করে তৈরি হচ্ছে নানা জল্পনা। এদিকে এর আগে একাধিকবার গোয়াতে তৃণমূলের পোস্টার, হোর্ডিং ইত্যাদি ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছিল সে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। ২৮ অক্টোবর বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম গোয়ায় যান। সেই সময় মমতার ছবি লাগানো হোর্ডিং, পোস্টার, ফ্লেক্সে ছেয়ে দেওয়া হয়েছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। কিন্তু কেউ বা কারা বারেবারেই তা ছিঁড়ে ফেলেছে বলে তৃণমূলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন - চান্নিতেই ভরসা রাহুলের, সিধুর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে শুরু জোর জল্পনা