সংক্ষিপ্ত

'ফড়ে রাজ' ঠেকাতে সহায়ক মূল্যে ধান কিনবে নবান্ন। নবান্নের নির্দেশে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের বড়সড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ 

আগাম আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা নিয়ে মাঠে নামছে নবান্ন! সামনের মরশুমে জেলায় সহায়ক মূল্যে ধান কেনার পরিমান বাড়াবে বলে স্থির করেছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে ধান কেনার জন্য পর্যাপ্ত কেন্দ্রে অর্থাৎ ক্যাম্প বাড়ান হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। সেইমতো নবান্নের নির্দেশে ফড়ে রাজ বন্ধ করে ধান কেনার ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি রাখার ব্যবস্থা করা হবে বলেও দাবি করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

গত মরশুমে জেলায় চার লক্ষ পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্য মাত্রা ধার্য করে ছিল রাজ্য সরকার । কিন্তু সেই লক্ষ্য মাত্রা ছাড়াও কৃষকের কথা মাথায় রেখে আরও বেশি ধান কিনতে বাধ্য হয় সরকার । ফলে সামনের মরশুমে জেলা থেকে চার লক্ষ ৩২ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এর জন্য জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অতিরিক্ত আটটি ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা হবে বলেও জানা গিয়েছে।

এবছর বন্যার কারনে জেলার কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হওয়ার পরেও কৃষি দপ্তর আশা ব্যক্ত করেছেন আবহাওয়া ধান চাষের উপযোগী হওয়ায় গত বারের তুলনায় জেলায় ধানের ফলন বাড়বে। এ ব্যাপারে জেলার কৃষি অধিকারিক তাপস কুন্ডু বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “এখন পর্যন্ত জমিতে যা ধান আছে,তাতে শেষ মুহূর্তে প্রকৃতি বিমুখ না হলে চাষি উপযুক্ত ফলন পাবেন।” 

এদিকে ধান চাষিদের অভিযোগ ক্যাম্পে ধান নিয়ে গিয়ে হয়রান হওয়া এবং কুপন না পাওয়ার কারনে ঝক্কি এড়াতে কৃষক ফড়েদের কাছে বাধ্য হয়ে ধান বিক্রি করে দেন । এই ব্যাপারে লালগোলার ধান চাষি এনামুল হক, নবগ্রামের চাষি রহিম শেখ বলেন, “সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ক্ষেত্রে নাম নথিভুক্তকরণে সরলিকরন এবং কুপন পেতে স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন । না হলে সব চাষি ক্যাম্পে গিয়ে ধান বিক্রি করতে পারবে না।” 

এই ব্যাপারে জেলা ফুড কন্ট্রোলার সুদীপ্ত সামন্ত বলেন, “নভেম্বর মাসে বিভিন্ন এলাকায় ধান কেনা শুরু হয়ে যাবে । এদিকে ক্যাম্পে এসে যাতে চাষিরাই ধান বিক্রি করতে পারেন সে ব্যাপারে আরও সজাগ দৃষ্টি রাখা হবে,অব্যাহত থাকবে বিশেষ নজরদারিও।”