সংক্ষিপ্ত

মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা কৃষি। আবার এই এলাকার মাটিও খুবই উর্বর। ফলে কৃষকরা যদি সামান্য শিক্ষা নিয়ে চাষ করে তাহলে জমিতে যথেষ্ট ফলনও পাবেন। 

মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) এবার চালু হল অভিনব 'দুয়ারে কৃষি আধিকারিক' (Duare Agriculture Officer) উদ্যোগ। শীতের মরশুমে (Winter Season) কৃষকদের (Farmer) আর্থিক উন্নতি থেকে শুরু করে জমির ফসল (Crops) কীভাবে পোকার উপদ্রবের হাত থেকে বাঁচানো যায় ও বাড়তি ফলনের দাওয়াই দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই মতো সীমান্তের প্রত্যন্ত ভগবানগোলা ও পার্শ্ববর্তী পঞ্চায়েতের শিবনগর এলাকার স্থানীয় কৃষকদের জড়ো করে তাঁদের সঙ্গে শীতকালীন ফসলের (Winter crop) পরিচর্যা নিয়ে আলোচনা করেন ব্লক কৃষি আধিকারিকরা। 

এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে স্থানীয় কৃষি আধিকারিক সুকমল সরকার বলেন, “এলাকার কৃষকরা রীতি মেনে জমিতে ফসলের চাষ (Cultivation) করেন। অথচ তাঁরা যদি বিজ্ঞানসম্মত ভাবে চাষ করেন তাহলে যেমন খরচ কম হবে তেমনই বাড়তি ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। এ উদ্দেশ্য নিয়েই কৃষকদের জন্য এই আয়োজন করা হয়েছে।" সেক্ষেত্রে কৃষকদের সঙ্গে সুদীর্ঘ এই আলোচনা পর্বে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে উপস্থিত ছিলেন কৃষি কর্মাধ্যক্ষরাও। 

মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা কৃষি। আবার এই এলাকার মাটিও খুবই উর্বর। ফলে কৃষকরা যদি সামান্য শিক্ষা নিয়ে চাষ করে তাহলে জমিতে যথেষ্ট ফলনও পাবেন। আবার কোন সময় কোন বীজ জমিতে ছড়ালে পোকার আক্রমণ তুলনামূলক ভাবে কম হবে, কোন ফসলে অধিক লাভ হবে, সেই ফসলের পরিচর্যা কীভাবে করা উচিত এসব কথা গল্পের ছলে কৃষকদের শোনান ব্লকের কৃষি আধিকারিক সুকমল সরকার।

আরও পড়ুন- ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে মাতল মহানগর, উদযাপনের অপেক্ষায় শহরের পুজো উদ্যোক্তরা 

এছাড়াও সরকার (State Government) কৃষকদের কী কী ভাবে সাহায্য করছে অথবা কৃষি কল্যাণে সরকারের প্রকল্পগুলি কী কী তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। এদিকে কৃষি আধিকারিককে হাতের নাগালে পেয়ে কৃষকরাও কৃষিকাজ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করেন। এই ব্যাপারে এলাকার কৃষক মহম্মদ এন্তাজ আলি,আব্দুল খাবির বলেন, “মূলত আমরা কৃষিকাজ দেখে শিখেছি। কিন্তু এদিন আধিকারিক যে ভাবে শীতকালীন ফসলের চাষ করতে বললেন এবং তার পরিচর্যার কথা বললেন তা অত্যন্ত খুবই ভালো। এর ফলে ফসল উৎপাদনে খরচও কম হবে।”

ওই এলাকার সব কৃষকদের দাবি, অন্যান্য মরশুমের ফসল নিয়েও এই রকম আলোচনা হলে যথার্থই কৃষকদের লাভ হবে এবং কৃষিকাজে উৎসাহ বাড়বে। ফলে অভিনব এই 'দুয়ারে কৃষি আধিকারিক' উদ্যোগ আগামী দিনে কৃষকদের কতটা সাহায্য করে এখন সেটাই দেখার।