সংক্ষিপ্ত

লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হতেই মাস চারেক আগে বর্ধমানের পারবীরহাটায় তাঁত হাট চালু হয় কোভিড বিধি মেনেই। তবে ওসব বিধিনিষেধ এখন উধাও। 

কে শোনে কার কথা! সরকারি নিষেধাজ্ঞার (Govt Rules) তোয়াক্কাই না কে করে। পুলিশ প্রশাসনের লাগাতার প্রচার ও মাইকিং ব্যর্থ। ব্যর্থ রাস্তায় ধরে ধরে মাস্ক (Mask) বিলির কাজও। কারণ বেহায়া এক শ্রেণির নাগরিক। তারা যেন পণ করেছেন মাস্ক ব্যবহার করবেন না। প্রতি শুক্রবার(Friday) বর্ধমানের (Burdwan) বীরহাটায় তাঁত হাট বসে। মূলত তাঁতের শাড়ি বিকিকিনি হয়। সেখানে হাজার হাজার ক্রেতা। কিন্তু অধিকাংশের মুখেই মাস্ক নেই। ক্রেতা কি বিক্রেতা সবার এক কথা। মাস্ক পড়তে ভুলে গেছি। কাল থেকে পরবেন সকলেই জানান। 

স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা বলছে পুলিশের লাঠি ছাড়া এদের শিক্ষা দেওয়া যাবে না। লাঠির বাড়ি খেলে তবে যদি কিছু মাথায় ঢোকে। অথচ শুক্রবার সকলেই বর্ধমান শহরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামলাল এলাকাকে  কনটাইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সকালে প্রশাসনের আধিকারিক এলাকায় গিয়ে সাতদিন দোকান বন্ধ রাখার কথা শোনান।
তবু্ও লাগাম টানা যাচ্ছে না মাস্ক না পরার ক্ষেত্রে।

লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হতেই মাস চারেক আগে বর্ধমানের পারবীরহাটায় তাঁত হাট চালু হয় কোভিড বিধি মেনেই। তবে ওসব বিধিনিষেধ এখন উধাও। বর্ধমান শহর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন জায়গার মানুষজন তাঁত হাটে ভিড় জমান। প্রতি শুক্রবার সকাল সাতটায় তাঁতহাটের দরজা খোলে। বেচাকেনা চলে বিকেল পর্যন্ত। সাপ্তাহিক তাঁত হাটে প্রচুর ভিড় হয়।

এদিকে, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতা। কারণ রাজ্যের মধ্যে সেখানেই আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। তালিকায় তারপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম। বৃহস্পতিবারের রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯০ জন। তার মধ্যে কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৫। যা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। 

শাঁখ কেন তিনবার বাজানো হয় জানেন, রয়েছে অদ্ভুত কারণ

Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে

এই পাঁচ বলিউড সেলিব্রিটির কেরিয়ার প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিলেন সলমন খান

করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ৯০ হাজার ০৩২। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। আর করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৪৫ জন। রাজ্যে এখন সুস্থতার হার ৯৮.২৯ শতাংশ। মোট অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৮,১০৯। মৃত্যুর হার ১.২০ শতাংশ। 

দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে কম সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বাঁকুড়া ও হুগলিতে। ২৪ ঘণ্টায় পুরুলিয়া থেকে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি। আর তারপরই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা। সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন। 

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬টি জেলার বাসিন্দার। তার মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় উত্তর দিনাজপুরে একজন, নদিয়ায় ২জন, হাওড়ায় ২জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ২ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ জন ও কলকাতায় ১জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় একজনেরও মৃত্যু হয়নি বাকি জেলাগুলিতে। তবে পুজোর পর থেকেই কলকাতাকে নিয়ে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়ছে। সেই কারণে সংক্রমণের উপর রাশ টানতে কড়া পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। তারই মধ্যে একদিনে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৪৫ জন। 

গোটা রাজ্য জুড়ে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৫,৪৩৭টি। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৬,৬৯৮জন রোগি। হাসপাতালে ভর্তি ১১৯২ জন। সেফ হোমে রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ২১৯জন।