সংক্ষিপ্ত

হাড়োয়া মানেই ইতিহাসের নানান অধ্যায় নানান কাহিনী। নদীর অনতিদূরে খলিসাদি গ্রামে অবস্থিত প্রাচীন সুন্দরবনের অরণ্য কালী মন্দির।

আড়াইশো বছরের বেশি(two hundred and fifty years old) পুরোনো প্রাচীন কালীপূজা আজও চলে আসছে রীতিনীতি মেনে। হাড়োয়া মানেই ইতিহাসের নানান অধ্যায় নানান কাহিনী। ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দু হাড়োয়ার বুক চিরে বয়ে গিয়েছে বিদ্যাধরী নদী। আর সেই নদীর অনতিদূরে খলিসাদি গ্রামে অবস্থিত প্রাচীন সুন্দরবনের(Arannya Kali Of Sunderban) অরণ্য কালী(Arannya Kali) মন্দির। বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের হাড়োয়া ব্লকের শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খলিসাদি গ্রামে অবস্থিত এই অরণ্য কালী। 

কথিত আছে, আড়াইশো বছর আগে বিদ্যাধরীর জলস্ফীতি হয়ে বন্যায় ভেসেছিল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই সময় সুন্দরবনের জঙ্গলে বিদ‍্যাধরী নদীর পাশে এক সাধু বাবা জঙ্গলের মঙ্গলের জন্য এই অরণ‍্য কালীর যজ্ঞ শুরু করেছিলেন। তারপর একটু একটু করে ধাপে ধাপে তৈরি হয়েছে একটি মন্দির। যা বর্তমানে অরণ্য কালিবাড়ি বলে পরিচিত। পরবর্তীতে এই পুজোর দায়িত্ব গ্রামেরই ভট্টাচার্য্য পরিবারের হাতে হস্তান্তর করে গ্রামবাসীরা। 

শাঁখ কেন তিনবার বাজানো হয় জানেন, রয়েছে অদ্ভুত কারণ

Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে

এই পাঁচ বলিউড সেলিব্রিটির কেরিয়ার প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিলেন সলমন খান

তখন থেকেই ভট্টাচার্য্য পরিবার এই পূজার দেখাশোনা করে আসছে। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন এখানকার মা কালী খুবই জাগ্রত, এক মনে যা চাওয়া হয় তাই পাওয়া যায়। আর তার জন্যই শক্তির আরাধনায় মেতে ওঠা। শ‍্যামা পুজোর দিন প্রতিবছর পূজা উপলক্ষে প্রচুর পাঠা বলি দেওয়া হয়। পাশাপাশি ফলও বলি দেওয়া হয়। খিচুড়ি ভোগ তৈরি হয়। পুজো উপলক্ষে এই কালী মায়ের কাছে প্রার্থনা করতে বহু দূর দূরান্ত থেকে পূণ‍্যার্থীদের আগমন ঘটে খলিসাদি গ্রামে।

২০২০ সালে করোনা মহামারীর জেরে নিয়ম রক্ষার্থে পূজা হয়েছিল। কোন জমায়েত করা হয়নি। তবে এবার ২০২১ সালে রাজ্য সরকারের গাইডলাইন মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজো করা হবে বলে জানান পুজো উদ্যোক্তা ভট্টাচার্য্য পরিবারের সদস্যরা।

উল্লেখ্য, কালীপুজো মানেই প্রদীপের সজ্জা, আলোর রোশনাই আর বাজির শব্দ। এই একটা দিন ছোট-বড় সকলেই সকল দুঃখ ভুলে আনন্দে মেতে ওঠেন। মা কালী যেমন পুজিত হন বাঙালি ঘরে, তেমনই অবাঙালি পরিবারগুলিতে পালিত হয় দিওয়ালি। সেখানে পুজিত হন ধনদেবী। 

এমনকী, বহু বাঙালি পরিবারও এই দিন লক্ষ্মী দেবীর পুজো হয়ে থাকে। তবে, করোনা অতিমারীর প্রকোপে এই বছরও দুর্গাপুজো কেটেছে কিছুটা আশঙ্কায়। কালী পুজো অবধি ঠিক কী অবস্থা থাকবে না নিয়ে কিছুটা ভয় থেকেই যাচ্ছে। তাও সকলেই প্রস্তুতি নিচ্ছে সতর্কতা মেনে।

৪ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার কালীপুজো। কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষে অমাবস্যা তিথিতে পুজিত হবেন মা। এদিন অমাবস্যা তিথি পড়ছে ৪ নভেম্বর সকাল ৬.৩০ মিনিটে। আর অমাবস্যা থাকবে ৫ নভেম্বর মধ্যরাত মানে ২.৪৪ মিনিট পর্যন্ত। 

এদিন লক্ষ্মী দেবীর পুজো হয় সন্ধ্যার মুখে। এদিন লক্ষ্মী পুজোর সময় সন্ধ্যা ৬.০৯ থেকে ৮.২০ মিনিট পর্যন্ত। ১ ঘন্টা ৫৫ মিনিট থাকছে পুজোর মুহূর্ত। এদিন অনেকে গনেশ পুজো করে থাকেন। জ্যোতিষ মতে, এই বছর এদিন গনেশ পুজোর জন্য আদর্শ। এতে ব্যবসায় বৃদ্ধি ঘটবে।