সংক্ষিপ্ত

হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দুই থেকে তিন দিন রাতের তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি কমবে। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই রাতে শীতের আমেজ ফিরবে। 

আপাতত রাজ্যে বৃষ্টির (Rain) কোনও পূর্বাভাস আর নেই। অবশেষে ঠান্ডার (Cold Weather) মধ্যে বৃষ্টির হাত থেকে ছুটি পেলেন রাজ্যবাসী। আর সবথেকে বড় বিষয় হল অবশেষে শীত (Winter) আসছে রাজ্যে। ডিসেম্বরের (December) দ্বিতীয় সপ্তাহ (Second Week) থেকেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তে শুরু করবে। রাতের তাপমাত্রাও (Night Temperature) ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি কমবে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipore Weather Department) তরফে জানানো হয়েছে। অবশ্য রাতের তাপমাত্রা কমলেও দিনের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে। 

হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দুই থেকে তিন দিন রাতের তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি কমবে। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই রাতে শীতের আমেজ ফিরবে। যদিও দিনের তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না। আর বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। ইতিমধ্যেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কাটতে শুরু করে দিয়েছে। আর রাজ্যে ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে উত্তুরে হাওয়া। তাই এবার কলকাতাতেও তাপমাত্রার (Kolkata Weather) পারদ নামতে শুরু করে দিয়েছে। শুক্রবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিনে এই তাপমাত্রা আরও খানিকটা নামবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন- শীতের মরসুমেই চিড়িয়াখানায় এল নতুন অতিথি, অনন্যার কোল আলো করে এল ফুটফুটে জেব্রা

অবশ্য বৃহস্পতিবার সন্ধের দিকে কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হয়েছিল। আর তার জেরে আজ সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘলা। বিশেষ একটা রোদের দেখা পাওয়া যায়নি। তবে শনিবার থেকে আকাশ পুরোপুরি কেটে যাবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। উত্তরবঙ্গ তাপমাত্রা কমবে। তবে এখন দার্জিলিং ছাড়া আর কোথাও বৃষ্টিপাতের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের পথে আর কোনও বাধা থাকল না বলেই মনে করা হচ্ছে।  

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার থেকে চারদিন শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। ১১ ডিসেম্বরের পরে ৩ দিন দক্ষিণবঙ্গ-উত্তরবঙ্গ দু'জায়গাতেই রাতের দিকে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে যাবে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে দার্জিলিংয়ে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাকি জায়গাগুলোতে শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। এই মুহূর্তে কোনও সিস্টেম নেই। অবশ্য এই বৃষ্টি নিয়ে চিন্তার তেমন কোনও কারণ নেই। আসলে উত্তর-পশ্চিম দিকে ঠান্ডা হাওয়া ও বঙ্গোপসাগর থেকে আদ্রতা জনিত হাওয়া উপর দিকে উঠছে। তাই এই দুই বিপরীত চরিত্র হাওয়ার ফলে স্থানীয়ভাবে মেঘ তৈরি হয় বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া রাজ্যের আর কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। 

অপরদিকে, বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জম্মু- কাশ্মীর, লাদাখ, মুজাফফরাবাদ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর প্রদেশের কিছু অংশে। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীরে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশা হতে পারে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় ,দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা কমবে উত্তর-পশ্চিম ভারত ও পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। তবে দক্ষিণ ভারতে বৃষ্টি হবে। 

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের সরাসরি প্রভাব পড়েনি রাজ্যে। তবে নিম্নচাপের জেরে সোমবার দিনভর বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা ও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়। সমুদ্র উপকূল ও উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে হালকা ঝোড়ো হাওয়াও বইতে শুরু করেছিল। একাধিক জায়গায় জলও জমে যায়। তবে খুব ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় খুব বেশি জল জমেনি। ধীরে ধীরে সেই জল নামতেও শুরু করে দিয়েছে।