সংক্ষিপ্ত

শুধু ২০২২-এর ভারী বৃষ্টিপাত নয়, গত ২ বছরের বৃষ্টির পরিমাণ যথেষ্ট বেশি হওয়ায় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে তোর্সা। বীচ বাগানের ফরেস্ট লাইন এলাকায় তোর্সা নদীর পাড়ে অনবরত ভাঙন চলছে।

প্রতি বছরের মতো এবছরেও বর্ষার শুরু থেকে আতঙ্কে উত্তরবঙ্গ।  ভয়ঙ্কর জলের তোড়ে বানভাসি একাধিক গ্রাম, প্রবল বেগে ফুঁসছে একাধিক নদী। ভয়াবহ রূপ আলিপুরদুয়ারের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তোর্সার নদীরও। 


তোর্সা নদীর ভাঙনে আতঙ্কিত আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের বীচ বাগানের বাসিন্দারা। নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে অসহায় গ্রামবাসীদের জমি, ঘরবাড়ি, চাষের খেত, বাগান ইতিমধ্যেই ভেসে গিয়েছে তোর্সার জলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্ক, এভাবে নদীর ভাঙন চলতে থাকলে কোনও একদিন বীচ বাগানের ফরেস্ট লাইন এলাকাটি তোর্সার জলে সম্পূর্ণ তলিয়ে যেতে পারে। আশঙ্কায় কোনওরকমে দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী। 


শুধু ২০২২-এর ভারী বৃষ্টিপাত নয়, গত ২ বছরের বৃষ্টির পরিমাণ যথেষ্ট বেশি হওয়ায় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে তোর্সা। বীচ বাগানের ফরেস্ট লাইন এলাকায় তোর্সা নদীর পাড়ে অনবরত ভাঙন চলছে। বেশি বৃষ্টি হলেই বীচ ফরেস্ট লাইন এলাকায় গ্রামের ভেতর জল প্রবেশ করছে। যা এখন দৈনন্দিন আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসীদের কাছে।

আঞ্চলিক বাসিন্দাদের অভিযোগ, আলিপুরদুয়ারে নদীর ক্রমাগত ভাঙনের কারণে বিঘার পর বিঘা জমি জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে, চোখের সামনে ভেসে যাচ্ছে ঘরবাড়ি। সম্পূর্ণ এলাকাই একটা বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এই এলাকায় পোক্ত বাঁধের দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসীরা। তাঁদের মনে সর্বদা লেগে রয়েছে প্রাণের সংশয়। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বহুবার  প্রশাসনের দরজায় কড়া নেড়েছেন তাঁরা। তবে, প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও উপযুক্ত ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের।

গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মালঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,"পঞ্চায়েতের তরফ থেকে যতটুকু কাজ করা সম্ভব হবে, ততটুকুই করা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে যথাযথ তথ্য দেওয়া হবে। তবে, এই বিশাল উদ্যোগের জন্য যতখানি আর্থিক সঙ্গতির প্রয়োজন, প্রশাসনের তহবিলে তত টাকা বর্তমানে উপলব্ধ নয়"। 


একনাগাড়ে চলা সমস্যা এবন আসন্ন বিপদের কোনও পাকাপাকি সমাধান না পেয়ে নিরাশ গ্রামের মানুষজন। ফের বৃষ্টি হলে তোর্সা নদী কী রূপ নেবে এবং আর কতদিনই বা এই গ্রামে নিশ্চিন্তে বাস করতে পারবেন তাঁরা, সেই সংশয়ের মধ্যে পড়ে দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে ফরেস্ট লাইন এলাকার বাসিন্দাদের। 


আরও পড়ুন-
ক্যানেলের জলে 'অকাল বন্যা' বাঁকুড়ায়। কংসাবতী নদীর মেন ক্যানেলের পাড় ভেঙে বিপত্তি গ্রামে!
নদী বাঁধ পরিদর্শনে বেড়িয়ে সাক্ষাৎ বাঘের দেখা মিলল, মোবাইল বন্দী বাঘ
ধীরে ধীরে গঙ্গার গ্রাসে তলিয়ে যাচ্ছে একটি প্রাথমিক স্কুল