সংক্ষিপ্ত

তৃণমূলের যে দুই নেতার নাম পোস্টারে লেখা হয়েছে, তারা হলেন পরিমল ধল ও উদয় রানা। এর মধ্যে পরিমল ধল সাতপাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।

ঝাড়গ্রামের পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুর। এই জেলার শালবনীতে দেখা গেল মাওবাদী পোস্টার। তার আগে পুরুলিয়ার একাধিক জায়গায় মার্চ মাসের শুরুতে মাওবাদী পোস্টার লাগানো হয়। তাই ফের কি বাড়ছে মাওবাদী আতঙ্ক, প্রশ্নটা উঠছে জনসাধারণের মনে। এই মাওবাদী পোস্টারে দুই তৃণমূল নেতার নাম লেখা রয়েছে। তাদের নামে হুমকিও দেওয়া রয়েছে ওই পোস্টারে। 

মৃত মাওবাদী নেতা কিষেণজীকে নিজেদের নেতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে পোস্টারে। বেশ আতঙ্কে রয়েছেন ওই দুই তৃণমূল নেতা। তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশকে। শালবনির পিড়াকাটা এলাকায় সাদা কাগজের ওপর লালকালিতে লেখা মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয়। তাতে লেখা, ‘আমাদের নেতা কিষানজির মৃত্যুর বদলা চাই। এ বার তো আমরা খেলব তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে। পরিমল ধল, উদয় রানা। পিড়াকাটা বাজার বন্ধ ৭ দিন।’

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ঝাড়গ্রামের কাছে বুড়শোলের জঙ্গলে নিহত হন মাওবাদী নেতা কিষেণজী। তৃণমূলের যে দুই নেতার নাম পোস্টারে লেখা হয়েছে, তারা হলেন পরিমল ধল ও উদয় রানা। এর মধ্যে পরিমল ধল সাতপাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। অন্যদিকে উদয় রানা হলেন পিড়াকাটা তৃণমূলের বুথ সভাপতি। তবে এই পোস্টার মাওবাদীরাই দিয়েছে কিনা, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।  

গত কয়েক দিন ধরে জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা এলাকায় মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার হচ্ছে। সোমবার ঝাড়গ্রামের বিনপুরে পোস্টার লেখা, লাগানো ও মজুত করার অভিযোগে রাজীব সিং এবং পূজা সিং নামে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পূজাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

এদিকে, মার্চের শুরুতে পুরুলিয়ার একাধিক জায়গা থেকে মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। জঙ্গলমহল, আড়ষা, অযোধ্যা পাহাড়-সহ বিভিন্ন জায়গায় ধারাবাহিকভাবে উদ্ধার হয় মাও পোস্টার। আড়ষায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ১৪ জনকে গ্রেফতার করে আড়ষা থানার পুলিশ। ধৃতদের পরে তোলা হয় পুরুলিয়া জেলা আদালতে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ১২০বি, ১২১, ১২১এ, ১২৪এ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। জানা যায় মাও পোস্টারকাণ্ডে ধৃত প্রত্যেকের বাড়িই আড়ষা থানা এলাকাতেই। 

এর আগেও গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আড়ষা থানা এলাকা থেকে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে আড়ষা থানা এলাকার ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি থানা এলাকায় অযোধ্যা পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্র বামনী ফলস এবং টুর্গায় একাধিক মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার করে পুলিশ। বার বার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় চাপে পড়ে যায় পুলিশ। গোটা বিষয়টি নিয়ে জোর তদন্ত শুরু হয়। 

অবশেষে এল বৃষ্টির পূর্বাভাস, কিন্তু তারজন্য এখনও অপেক্ষা করতে হবে দক্ষিণবঙ্গবাসীকে

কংগ্রেসের হাত ধরছেন না ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর, একমাস ধরে চলা জল্পনার অবসান

কংগ্রেসের হাত ধরছেন না ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর, একমাস ধরে চলা জল্পনার অবসান