সংক্ষিপ্ত
প্রশান্ত কিশোর বার্তা দিয়ে বলেছেন, কংগ্রেসের পরিকাঠামোগত সংস্কারের জন্য তাঁর থেকেও অনেক বেশি জরুরি দলের নেতাদের চেষ্টা আর নেতৃত্বের ওপর নির্ভরশীল।
জল্পনার অবসান। এবারও কংগ্রেসে যোগ দেওয়া হল না প্রশান্ত কিশোরের। কংগ্রেসের মুখপাত্র সুরজেওয়ালা সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কংগ্রেসের সভাপতির সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। তিনি একটি অ্যাকশন গ্রুপ ২০২৪ গঠন করেছেন। সেই দলের অংশ হিসেবে তাকে দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখান করেছেন। তবে তিনি যেভাবে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ও পার্টিকে যে ভাবে পরামর্শ দিয়েছেন তারও প্রশংসা করেছেন তিনি।
অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোর বার্তা দিয়ে বলেছেন, কংগ্রেসের পরিকাঠামোগত সংস্কারের জন্য তাঁর থেকেও অনেক বেশি জরুরি দলের নেতাদের চেষ্টা আর নেতৃত্বের ওপর নির্ভরশীল। একই সঙ্গে ভোটকুশলী জানিয়েছেন তিনি কংগ্রেসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছেন। কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী জি-২৩র নেতাদের সামনেও প্রাশান্ত কিশোরের বিষয়টি রেখেছিলেন সনিয়া গান্ধী। কিন্তু সেখানে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রশান্ত কিশোরের বার্তা থেকে অনেকটাই স্পষ্ট কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ তাঁকে নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। যদিও এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
এই মাসের শুরু থেকেই প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী ও দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন তিনি। প্রথমে কংগ্রেস সূত্রে বলা হয়েছিল ২০২৪ সালে নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের হয়ে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করবেন তিনি। পাশাপাশি দলের সংগঠনকেও চাঙ্গা করার দায়িত্ব নেবেন তিনি। সেইমত প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেস নিয়ে তাঁর যেসব পরিকল্পনা ছিল তারও একটি উপস্থাপনা দেন। শোনা গিয়েছিল কংগ্রেস ৩৭০ আসনের লক্ষ্যেই ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে লড়াই করবে। পাশাপাসি বিধানসভা নির্বাচনগুলিতেও প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ নেওয়া হবে।
কিন্তু একাধিক বৈঠক আর সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দুই দতরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা একে অপরের হাত ধরছেন না। অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোর আগেই তেলাঙ্গনা মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরএর নির্বাচন কুশলীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। চূড়ান্ত হয়েছে আইপ্যাকের সঙ্গে চুক্তি।
এটাই প্রথম নয় এর আগেও প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদানের কথা হয়েছিল। সেবার প্রাশান্ত কিশোর কথা বলেছিলেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে। কিন্তু সেবারও শেষ রক্ষা হয়নি। প্রিয়াঙ্কা ও প্রশান্ত কিশোর একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারেননি বলেও জানিয়েছেন। এবারও ভেস্তে গেল আলোচনা।