সংক্ষিপ্ত
যেদিন দেশ স্বাধীন হল লক্ষ্মীবালা দেবী তখন ২৭ বছরের যুবতী। পূর্ব মেদিনীরের কৃষকবাড়ির সাদামাটা গৃহবধূ। ১০২ বছর ধরে জীবনের নানা যাওয়া-আসার স্রোতের মধ্য দিয়েই লক্ষ্মীদেবী আজ হয়ে উঠেছেন মহীরুহ।
দু'চোখে স্মৃতির পাহাড়, দেখেছেন ব্রিটিশ রাজ, দেখেছেন স্বাধীনতা সংগ্রাম, সামনে থেকে দেখেছেন দেশের স্বাধীনতা। মুক্তি যুদ্ধ, অকালে ঝড়ে যেতে দেখেছেন শয় শয় তাজা প্রাণ। চোখের সামনে বদলেছে যুগ, বদলেছে সমাজ, দেখেছেন কী ভাবে ষোলোআনায় রূপনারায়নের ষোলটি ইলিশ, সাতআনায় একমন ধান, তিন টাকায় সোনার নাকছাবির থেকে যুগের সিরি বেয়ে চর চর করে বেড়েছে দ্রব্যমূল্য। এখন ঘোলা চোখে সেই সব আবছা স্মৃতির গল্প শোনান শতায়ু লক্ষ্মীবালা মাইতি।
যেদিন দেশ স্বাধীন হল লক্ষ্মীবালা দেবী তখন ২৭ বছরের যুবতী। পূর্ব মেদিনীরের কৃষকবাড়ির সাদামাটা গৃহবধূ। ১০২ বছর ধরে জীবনের নানা যাওয়া-আসার স্রোতের মধ্য দিয়েই লক্ষ্মীদেবী আজ হয়ে উঠেছেন মহীরুহ।
ছয় ছেলে-মেয়ে, আঠারো নাতিনাতনী, সাত নাতজামাই, সাত নাতবৌ নিয়ে সাজানো সংসার তাঁর। অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া স্মৃতির পাতা ঘেটেই তিনি নাতিনাতনিদের শোনান 'ওলাউঠো লালমুখো'দের গল্প। শোনান বঞ্চনার গল্প, শোনান কী ভাবে সারাদিন গতর খাটিয়ে জুটত দু-আনা মজুরি।
বয়স ১০০-এর কোটা পেরোলেও আজও স্বয়ংসিদ্ধা লক্ষ্মীবালাদেবী। কোলাঘাট নতুন বাজারে হাটের সবজি বিক্রেতা তিনি।
আরও পড়ুন - আজ লাল কেল্লায় ভারতের ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের কিছু বিশেষ মুহূর্ত দেখে নিন
স্বাধীনতার ৭৬তম বছরে এবার কোলাঘাটের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সংকেত ক্লাবের উদ্যোগে পতাকা উত্তোলন করলেন ইতিহাসের সাক্ষী লক্ষ্মীবালা মাইতি।
এদিন সকালেই রাধামাধব মন্দিরে চন্দন, উত্তরীয়, ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় তাঁকে। তারপর ক্লাব প্রাঙ্গণ পর্যন্ত সুসজ্জিত পালকিতে করে চলে শোভাযাত্রা। খোল করতাল শঙ্খধ্বনী সহোযোগে অভিনব শোভাযাত্রার সাক্ষী থাকল কোলাঘাট। শোভাযাত্রা শেষে ক্লাব প্রাঙ্গনে পতাকা উত্তোলন করেন শতায়ু লক্ষ্মীবালা মাইতি।
ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয় স্বাধীনতার এই ঐতিহাসিক বছরে প্রবীনতম মাতৃসমাকে দিয়ে পতাকা উত্তোলন করিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হল দেশ মাতাকে।
আরও পড়ুন - আত্মকেন্দ্রিক সরকারের আত্মকথন দেখা গেল স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে-মোদী সরকারকে তুলোধনা সনিয়া গান্ধীর