সংক্ষিপ্ত

উচ্চমাধ্যমিকে চোখ ধাঁধানো রেজাল্ট রুমনা সুলতানার। ৮ লাখ পড়ুয়াকে টপকে উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম স্থানে রুমনা।

কবিতা লেখা তার প্যাশন। সেই বন্ধুকে সঙ্গী করেই উচ্চমাধ্যমিকে চোখ ধাঁধানো রেজাল্ট রুমনা সুলতানার। ৮ লাখ পড়ুয়াকে টপকে উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম স্থানে রুমনা। রুমনার লক্ষ্য ভবিষ্যতে আদর্শ বিজ্ঞানী হওয়া। চোখ ধাঁধানো সাফল্য তাঁর। এবারের উচ্চমাধ্যমিকে মুর্শিদাবাদের কৃতি পরিবারের ছাত্রীর রাজ্যে প্রথম স্থান দখলে ভীষণ খুশি তার পরিবার। 

২০২১ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার বিশেষ মূল্যায়নের মধ্যে দিয়ে বৃহস্পতিবার ফলপ্রকাশ হল। সেক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় এই বিকল্প পদ্ধতিতে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করা হয়েছিল। সেই নিরিখে এদিন ফল প্রকাশ করেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি। তবে এর মধ্যেও কার্যত ৮ লাখের অধিক পরীক্ষার্থীকে টপকে গিয়েছে সারা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের গয়েশাবাদ অচলা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলমের কন্যা রুমনা। 

রুমনা কান্দির মনীন্দ্র চন্দ্র গার্লস হাই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। মোট ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৯ পেয়ে রাজ্যে প্রথম স্থান দখল করেছে সে। রুমনার মা পেশায় শিক্ষিকা। এহেন কৃতী ছাত্রী রুমনার দাদু মহম্মদ সৈয়দ ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। । তাই ছোট থেকেই রুমনার পরিবারের শিক্ষার আলো রয়েছে। এদিকে এই রেজাল্ট জানার পরই রীতিমতো খুশিতে মেতে উঠেছে রুমনা সহ তার শিক্ষক বাবা-মা এমনকি তার ঠাকুরমা পর্যন্ত। 

এদিন বিজ্ঞানের এই কৃতী ছাত্রী তার একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, আগামী দিনে একজন সফল আদর্শবান বিজ্ঞানী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। নয়তো চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করে এগিয়ে যেতে চাই"। এদিকে মেয়ের এমন অভাবনীয় সাফল্য শিক্ষক বাবা রবিউল আলম বলেন," মেয়ে ছোট থেকেই শিক্ষার প্রতি অনুরাগী তার যে ভালো রেজাল্ট হবে এটা আমরা আশা করেছিলাম তা বলে সারা রাজ্যে যে প্রথম হবে এটা ভাবিনি। তবে আজ প্রচন্ড খুশি গোটা পরিবার সেইসঙ্গে ওর স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল ওকে সবসময় সহযোগিতা করেছে এবং ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে ও আর ও সহযোগিতা করবে বলেই আমরা আশাবাদী"।

এখানেই শেষ নয়, ২০১৯ সালে মাধ্যমিকে সারা রাজ্যে পঞ্চম স্থান দখল করেছিল রুমনা। কৃতী ছাত্রী এদিন একান্ত আলাপচারিতায় মধ্যে দিয়ে জানাই, শুধু পড়াশুনায় নয় পড়ার ফাঁকে আমার কবিতা লিখতে ছবি আঁকতে তার প্রচন্ড ভালো লাগে। একটানা পড়তে গিয়ে যখন মন এবং মস্তিষ্ক খুব চাপের মধ্যে থাকত তখন নিজেকে প্রকৃতির মধ্যে মিলিয়ে মিশিয়ে দিতে ছবি আঁকা আর কবিতা লেখার মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখতাম"।