সংক্ষিপ্ত
হাতির হানায় পূর্ব বর্ধামানে ক্রমেই বাড়ছে আতঙ্ক। বনকর্মীদের নজর এড়িয়ে ফের আউশগ্রামে হানা দিল হাতির দল।
দাঁতালের দাপট যেন কিছুতেই কমছে না পূর্ব-বর্ধমানে(purba bardhaman)। বৃহঃষ্পতিবারের পর শুক্রবারও পূর্ব বর্ধমানের আউশ গ্রামে হানা দিল হাতির(elephant) পাল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকালই গলসি, আউশগ্রাম সহ জেলার একাধিক জায়গায় হানা দেয় ৩৫ থেকে ৪০টি হাতির একটি দল। নষ্ট হয়ে যায় বিঘের পর বিঘে জমির ধান। এমনকী আউশগ্রামে(aushgram) হাতির আক্রমণে শেখ সিরাজুল হক নামে ব্যক্তির আহত হওয়ার খবরও শোনা যায়। যদিও এই ঘটনার পরেই হাতির পালকে জঙ্গলমুখী করতে মাঠে নামে বনদপ্তরের(Forest Department) কর্মীরা।
সূত্রের খবর, আউশগ্রামে বৃহস্পতিবার দিনভর হাতির পালের তাণ্ডবের পর রাতে তাদের খানিক বাঁকুড়ামুখী করতে সফল হন বনকর্মীরা। তাদের ধারণা বাঁকুড়ার জঙ্গল থেকেই খাবারের খোঁজে বর্ধমানের লোকালয়ে চলে এসেছিল হাতির পাল। যদিও রাতে তাদের ফের বাঁকুড়ামুখী করা হলেও খুব সম্ভবত ২০-২২ টি হাতি দলছুট হয়ে ফের শুক্রবার ভোরে চলে আসে আউশগ্রামের নওয়াদার মাঠে। আর তাতেই বাঁধে বিপত্তি।
আরও পড়ুন - হাতির তাণ্ডবে নষ্ট জমির ধান, বনদফতরের কর্মীদের কাজে বাধা ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী হাতির পালটি এখন গুসকরা ও শিবদা গ্রামের কাছে রয়েছে। তাণ্ডব চলছে ধানের জমিতে। আক তাতেই নতুন করে আতঙ্কিত হয়েছেন গ্রামবাসীরা। এদিকে গতকালও পূর্ব-বর্ধমানের বিস্তৃর্ণ এলাকার ধানের জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল দাঁতালদের উপদ্রবে। যার ফলে মাথায় হাত পড়ে চাষিদের। এদিকে এই ঘটনায় বনদপ্তরের উদসীনতার দিকেও আঙুল তোলেন অনেক গ্রামবাসী। অনেকেই দাবি করেন বনকর্মীরা সঠিক ভাবে নজরদারি করলে এই ঘটনা ঘটতে পারত না। এমনকী বাঁকুড়ার সূদূর জঙ্গল ছেড়ে কী করেই বা হাতির পালটি এতদূর এল সেই প্রশ্নও উঠছে।
আরও পড়ুন - বর্ধমানে হাতির দলের তান্ডব, আক্রমণে জখম ১
যদিও বনদপ্তরের তরফে বৃহঃষ্পতিবারই দাবি করা হয় হাতি তাড়ানোর জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা তারা করেছেন। কী করে তাদের নজর এড়িয়ে হাতির পালটি লোকালয়ে ঢুকে পড়ল সেই বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। যদিও চাষিদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রতিবছরই শীতের শুরুতে বর্ধমান বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকায় হাতির তাণ্ডব দেখা যায়। মূলত খাবারের খোঁজেই এই সময় তারা লোকালয়ে চলে আসে বলে বন আধিকারিকদের মত।