সংক্ষিপ্ত

হাবরা নগরউখরা মোড়ের কাছে যশোর রোড লাগোয়া মিষ্টির দোকানটি রয়েছে। আর এই দোকানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক স্মৃতি। আজ সকালে অশোকনগরে দলীয় প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি।

রাজ্যে পুরভোটের (West Bengal Municipal Election 2022) দামামা বেজে গিয়েছে অনেক দিন আগেই। আর সেই মতোই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন সব রাজনৈতিক দলই। জোরকদমে চলছে শাসক থেকে শুরু করে বিরোধীদের প্রচার (Vote Campaign)। আর সেই প্রচার করতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূলের (TMC) প্রথম সারির নেতারা। ঠিক তেমনই আজ অশোকনগরে (Ashoknagar) দলীয় প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে করেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। আর প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে হাবরার একটি মিষ্টির দোকানে দাঁড়ান। সেখান থেকে মিষ্টি কেনার পাশাপাশি চেখেও দেখেন তিনি। মিষ্টির দোকানটিকে দেখে তিনি কিছুটা নস্টালজিক হয়ে পড়েন।  

হাবরা নগরউখরা মোড়ের কাছে যশোর রোড লাগোয়া মিষ্টির দোকানটি রয়েছে। আর এই দোকানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক স্মৃতি। আজ সকালে অশোকনগরে দলীয় প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর কলকাতা ফেরার পথে দাঁড়ান ওই মিষ্টির দোকানের সামনে। তবে তিনি নিজে গাড়ি থেকে নামেননি। আসলে ওই দোকানে কী কী মিষ্টি পাওয়া যায় তা ভালো মতোই জানেন তিনি। তাই দলীয় কর্মীদেরই সেখান থেকে মিষ্টি কিনে আনতে বলেছিলেন। এরপর তাঁর নির্দেশ মতোই সেই দোকান থেকে মিষ্টি কিনে তাঁকে দেন কর্মীরা। তার পাশাপাশি ওই দোকানের মিষ্টি দইও আবার চেখে দেখেন তিনি।  

আরও পড়ুন- অবশেষে গলল বরফ, দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে একযোগে প্রচার সারলেন মদন-সৌগত

ওই দোকানের কর্ণধার ভক্ত রঞ্জন ঘোষ। তাঁর সঙ্গেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। একেবারে পারিবারিক। আর দোকানের বর্তমান মালিক শংকর ঘোষ হাবরা পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীও। ফলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর দোকানে এসেছেন এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে পৌঁছে যান তিনি। এরপর মন্ত্রীকে নমস্কার করে আশীর্বাদ নেন। তার সঙ্গে বেশ কিছু মিষ্টিও মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন অশোকনগরের এক নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী জয়া দত্তও। 

আরও পড়ুন- প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করলে সমস্ত নির্দল প্রার্থীকেই করা হবে বহিষ্কার, উত্তর ২৪ পরগনায় হুঁশিয়ারি তৃণমূলের

এই দোকানের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। হাবরাতে গেলে বরাবরই এই দোকানে একবার ঢুঁ মারেন তিনি। ভক্ত রঞ্জন ঘোষ থাকার সময় থেকেই এই দোকানে তাঁর যাতায়াত ছিল। এমনকী, তাঁর স্ত্রী ও মায়ের মৃত্যুর পরও এই দোকান থেকেই তাঁর বাড়িতে মিষ্টি গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। বাড়ির যে কোনও অনুষ্ঠানেই এই দোকান থেকেই তাঁর বাড়িতে মিষ্টি যায়। তাই আজও প্রচার সেরে ফেরার পথে আর লোভ সামলাতে পারেননি তিনি। সোজা গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন ওই মিষ্টির দোকানের সামনে। আর মিষ্টি কেনার পাশাপাশি নস্টালজিয়ায় ভাসেন তিনি!  

আরও পড়ুন- ফের বড়সড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, হোম লোন নিতে গিয়ে সর্বস্ব খোয়ালেন বেহালার যুবক