সংক্ষিপ্ত
- চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকার হাতানোর অভিযোগ
- বেকার যুবকদের কাছ থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগ ডাকঘর কর্মীর বিরুদ্ধে
- জলঙ্গীর দয়ারামপুর এলাকায় ঐ ডাকঘর কর্মীর বাড়িতে চড়াও প্রতারিতরা
- সুযোগ বুঝেই সপরিবারে বিষ্ণুদে চম্পট দেয় বলে জানা যায়
বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকার বিনিময়ে এলাকার বেকার যুবকদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠল এক ডাকঘর কর্মীর বিরুদ্ধে। জলঙ্গীর দয়ারামপুর এলাকায় বিষ্নু দে নামের ঐ ডাকঘর কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয় প্রতারিত বেকার যুবকরা। যদিও তার বাড়িতে গিয়ে এদিন কাউর দেখা মেলেনি।সুযোগ বুঝেই সপরিবারে বিষ্ণুদে চম্পট দেয় বলে জানা যায়।
১ অক্টোবর থেকে খুলছে রাজ্যের সিনেমা হল, টুইট করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, জলঙ্গীর দয়ারামপুর এলাকায় নিজের বাড়িতেই গ্রামীণ ডাকঘর চালাত অভিযুক্ত বিষ্ণু দে।স্থানীয়দের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে সরকারি দপ্তরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা আদায় করে বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে চাকরি না হওয়ায় প্রতারিত যুবকেরা দলবেঁধে বিষ্ণু বাবু বাড়িতে হাজির হলে তিনি সেখান থেকে আগেই পালিয়ে যান।
চিটফান্ডের আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে কী করছে রাজ্য়, স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
এলাকার এক বাসিন্দা এক লক্ষ ৩০হাজার টাকা জমা করার জন্য তাঁকে দিয়েছিলেন। পরিচিত হওয়ায় রসিদ নেননি। ওই কর্মী ৭৮হাজার টাকা অ্যাকাউন্টে রেখে বাকি টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তির মতো অনেকে প্রতারিত হয়েছেন।হেড পোস্ট অফিসের সুপারিন্টেন্ডেন্ট প্রবাল বাগচি বলেন, একজন ইন্সপেক্টরকে তদন্ত করতে পাঠানো হয়েছে। তিনি ফিরে আসার পর এই বিষয়ে জানা যাবে।
আগে কলকাতা পুলিশের কর্তাকে বাঁচাতে নিজেই হাজির হতেন, মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা রাজ্য়পালের
এলাকার বাসিন্দা বাবলু শেখ বলেন, গ্রামে অধিকাংশই গরিব পরিবার। অনেকের রেকারিং আ্যকাউন্ট ছিল। আবার অনেকে এককালীন টাকা জমা করেছিলেন। ওই ব্যক্তি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেননি। অনেকে সরল বিশ্বাসে তার কাছে পাসবই জমা করে রেখেছিল। অধিকাংশ গ্রাহক টাকা জমা করার পর রসিদ নিত না। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সে কয়েকশো গ্রাহককে প্রতারিত করেছে। এছাড়া পোস্ট অফিসে চাকরি দেওয়ার নাম করেও অনেকের কাছে টাকা হাতিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই অস্থায়ী কর্মী আট বছর ধরে পোস্ট অফিসটি চালাচ্ছেন। সম্প্রতি সেখানে একজন মহিলা আধিকারিককে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু ওই কর্মীর প্রভাব বেশি থাকায় তিনি নিজেই পোস্ট অফিসে সব কাজ করতেন। স্থায়ী কর্মী না হয়েও কীভাবে পোস্ট অফিস চালাতেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।