সংক্ষিপ্ত
মাস্ক না পরে রাস্তায় বের হলে যেখানে থানায় যেতে হত বা পুলিশের লাঠি খেতে হত সেখানে শীতের সময় হাতে নলেন গুড় পেয়ে বেজায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। টাকি রোডের উপরে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষকে মাস্ক বিতরণ করছেন পঞ্চায়েত প্রধান।
করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে মাস্ক (Mask) পরা বাধ্যতামূলক। মাস্ক না পরে রাস্তায় বের হলেই অনেক সময় ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে থানায় (Police Station)। করা হচ্ছে জরিমানাও। কোথাও আবার কান ধরে ওঠবোসও করানো হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রুখতে রীতিমতো কড়া পদক্ষেপ করছে পুলিশ (Police)। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই চলছে ধরপাকড়। আর সেখানেই এক অভিনব দাওয়াই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের। মাস্ক না পরে রাস্তায় বের হলেই মিলছে নলেন গুড় (Nolen Gur)! অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? অবাক হওয়ার কিছু নেই আসলে এমনই ঘটনা ঘটেছে বারাসত দু নম্বর ব্লকে ফলতি বেলিয়াঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
মাস্ক না পরে রাস্তায় বের হলে যেখানে থানায় যেতে হত বা পুলিশের লাঠি খেতে হত সেখানে শীতের সময় (Winter Season) হাতে নলেন গুড় পেয়ে বেজায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। টাকি রোডের উপরে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষকে মাস্ক বিতরণ করছেন পঞ্চায়েত প্রধান। আর মাস্কবিহীন বাইক আরোহী ও ট্রাকচালক যাঁরাই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের হাতে 'উপহার' হিসেবে তুলে দিচ্ছেন নলেন গুড়ের পাটালি। সাধারণ মানুষকে সতেচন করার জন্যই এই অভিনব উপায় বাতলেছেন তিনি। আসলে কড়া ভাষায় বলে যেখানে সাধারণ মানুষ সচেতন হচ্ছেন না, সেখানে ভালোবেসে উপহার দিলে যদি মানুষ সচেতন হন তার জন্যই পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনাকে অবশ্য ঠাট্টা তামাশার ছলে নিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু, তার মধ্যে কিছু মানুষ আবার লজ্জাও বোধ করেছেন।
আরও পড়ুন- স্ত্রীর প্রেমিকের হাতে খুন স্বামী, ব্যাপক চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায়
এ প্রসঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুর রহমান বলেন, "শীতের মরসুমে নলেন গুড়ের পাটালি বিরল। তাই সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এভাবে নলেন গুড়ের পাটালি বিতরণ করেছি এবং তাঁদের লজ্জা দিয়েছি। এর ফলে আগামী দিনে মাস্ক ছাড়া তাঁরা আর রাস্তায় বের হবেন না।" এদিন সকালে পঞ্চায়েতের সব কর্মীদের নিয়ে টাকি রোডে অভিযানে নামেন তিনি। মাস্ক ছাড়া যাঁরা রাস্তায় বেরিয়েছিলেন তাঁদের হাতে মাস্ক তুলে দেন। আর উপহার হিসেবে তুলে দেন নলেন গুড়ের পাটালি।
আরও পড়ুন- স্কুলের শিবিরে টিকা নিতে গিয়ে বিপত্তি, একই দিনে এক ছাত্রকে দেওয়া হল দুটি ডোজ
আরও পড়ুন-এগিয়ে না পিছিয়ে বাংলা তা ঠিক করুক বর্তমান প্রজন্ম, ফের শমীকের নিশানায় মমতা
করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে রাজ্যে জারি রয়েছে বিধিনিষেধ। রাজ্যে দৈনিক করোনা (Coronanavirus) সংক্রমণ ১০ হাজারের উপরেই রয়েছে। বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Deaprtment) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৪৪৭ জন। রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। রাজ্যের মধ্যে কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। কিন্তু, তারপরই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দুই ২৪ পরগনা। সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন জায়গায় চালু হয়েছে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। এই পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলা ও মাস্ক পরার উপর বিশেষ নজর দিয়েছে প্রশাসন। আর সেখানেই এখনও সচেতন নন বহু মানুষ।