সংক্ষিপ্ত

জানা গিয়েছে, মৃত কমল কান্তি দের ময়ূরেশ্বর থানার বোকারিয়া গ্রামের কাছে বহরমপুর-সাঁইথিয়া রাস্তায় একটি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। এছাড়াও তিনি বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সোমবার রাতে তাঁকে এলোপাথারি গুলি চালিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা।

গুলি করে খুন ব্যবসায়ীকে (Businessman)। রাতের অন্ধকারে বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বরের সারদা মোড়ের কাছে তাঁকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা (Miscreants)। কয়েকজন দুষ্কৃতী পিছন থেকে গুলি (Shootout) করে বলে অভিযোগ। মৃত ব্যবসায়ীর নাম কমল কান্তি দে (৪২)। বাড়ি সাঁইথিয়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজি পল্লিতে। ঘটনার পরই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে সাইঁথিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Sainthia State General Hospital) নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তবে কী কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে সেই বিষয়টি এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। 

জানা গিয়েছে, মৃত কমল কান্তি দের ময়ূরেশ্বর থানার বোকারিয়া গ্রামের কাছে বহরমপুর-সাঁইথিয়া রাস্তায় একটি পেট্রোল পাম্প (Petrol Pump) রয়েছে। এছাড়াও তিনি বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সোমবার রাতে তাঁকে এলোপাথারি গুলি চালিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। রাত ১১টা নাগাদ নিজের পেট্রোল পাম্প থেকে কাজ সেরে একটি বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় সাঁইথিয়া ও ময়ূরেশ্বর থানার মাঝে সারদা মোড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে গুলি চালাতে শুরু করে। সেই সময় তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, গুলি গিয়ে লাগে তাঁক পিঠে। চারটি গুলি লেগেছিল তাঁর শরীরে। 

আরও পড়ুন- আনিসের মৃত্যু রহস্য ধামাচাপা দিতেই রাজ্যের সিট গঠন-কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

এদিকে রাতে এত গুলির শব্দ শুনে আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। তখন তাঁরা দেখতে পান রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন কমল কান্তি। তাঁকে সাঁইথিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, চারটি গুলিতে লেগেছে তাঁর শরীরে ঘাড়ে, কোমরে, বুকে ও মাথায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা ব্যবসায়ী কারণের জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

আরও পড়ুন- ১১ মার্চ বিধানসভায় পেশ হবে রাজ্যের বাজেট, মন্ত্রীসভার বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর

পুলিশের অনুমান, তাঁকে পরিকল্পনা করেই খুন কর হয়েছে। পাম্পে কোনও সিসিটিভি (CCTV) ছিল না। বাইরেও অন্ধকার থাকায় সেখানকার ছবিও ধরা পড়েনি কোথাও। তাই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তদন্তকারীদের। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, রাজুবাবুকে লুটের উদ্দেশ্যে গুলি চালানো হয়নি। তাঁকে এভাবে হত্যার পিছনে ব্যবসায়িক কোনও শত্রুতা ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ। আরও একটি বিষয় সম্পর্কেও খোঁজখবর করছে পুলিশ। বালিঘাট নিয়ে কোনও অবৈধ কারবারে তিনি যুক্ত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

আরও পড়ুন-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রস্তাব খারিজ, নবান্নে গেলেন না আনিসের বাবা